ভুয়া চিকিৎসককে লাখ টাকা জরিমানা।
জেলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মোজাম্মেল হক (৪৩) নামের সেই ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ অর্থদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোজাম্মেলকে এর আগে গত সোমবার একই অপরাধে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রামের সাহাবউদ্দিনের ছেলে।
চিকিৎসার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও মোজাম্মেল হক নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে উপজেলা সদরের কেন্দুয়া ফার্মেসিতে রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা সহ ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ফার্মেসিতে অভিযান চালায়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকও আদালতের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক মোজাম্মেল হককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে জরিমানার এক লাখ টাকা পরিশোধ করে ছাড়া পান মোজাম্মেল।
এ সময় কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ আদালতকে সহায়তা করে।
গত সোমবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব-১৪, (সিপিসি-২), কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সহায়তায় নির্বাহী হাকিম ও কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে উপজেলার রামপুরবাজারে মায়ের দোয়া ফার্মেসিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ভুয়া চিকিৎসক মোজাম্মেল হককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পরে তিনি এক লাখ টাকা পরিশোধ করেন।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট উপজেলা সদরের জননী ফার্মেসিতে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নাজিরুল হক সোহাগ নামে আরেক ভুয়া চিকিৎসক দণ্ডপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর শাস্তি আরোপ করা হবে। তাছাড়া যেসব ফার্মেসি মালিক এবং ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধে সহায়তা করবেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।