ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সভাপতি প্রার্থী ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ৪৯ জন।
নগর প্রতিবেধকঃ কাউন্সিলের মাধ্যমে বিএনপির ছাত্রসংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনে শতাধিক জন মনোনয়ন ফরম কিনলেও মঙ্গলবার সময় শেষ হওয়ার পর দুই পদে মোট ৭৬ জন তা জমা দিয়েছে।
প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহড়া দিয়ে ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে ফরমসহ কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে প্রার্থীদের সঙ্গে আসা কর্মী-সমর্থকরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে স্লোগানে মুখর ছিলেন।
সভাপতি পদে কোনো নারী ফরম কেনেনি জানা গেছে। সাধারণ সম্পাদক পদে যে তিনজন নারী ফরম কিনেছিলেন, তাদের মধ্যে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের নাদিয়া পাঠান পাপন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ডালিয়া রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা যায়।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের শীর্ষ এই দুই পদের নেতা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে, যাতে সারাদেশে ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।
ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, সর্বমোট ৭৬টি ফরম জমা পড়েছে। বিক্রি হয়েছিল ১১০টি।
বুধবার থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ দিন মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করবেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে গঠিত বাছাই কমিটি।
সাত্তার জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩১ আগস্ট। প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।
এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাবেক ছাত্রদল নেতা খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হক মিলনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি ও শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আপিল কমিটি কাজ করছে বলে জানা গেছে।