সারাদেশে ১১ দাবিতে চলছে নৌ ধর্মঘট।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ন্যূনতম মজুরিসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে নৌধর্মঘট চলছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) থেকে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সকল জেলা শাখার মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছে নৌযান শ্রমিকরা।
আজ বুধবার সকালে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার রুটের কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি। নৌধর্মঘটের ফলে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে নদী বন্দরে।
বাংলাদেশ নৌশ্রমিক ফেডারেশন বরিশালের সভাপতি হাশেম আলী বলেন, এর আগে ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নৌধর্মঘট ডাকা হলে ৪৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই ফের ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম বলেন, গত ২০ জুলাই সভা করে ২৩ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অবিরাম শ্রমিক ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা আদায়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের প্রথম দিন শ্রমিক অধিদফতর, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৪৫ দিনের সময় নেয় নৌযান মালিকপক্ষ।
শাহ আলম বলেন, তাদের আশ্বাসে ওইদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ত এ পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। তাই ফের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ২০ জুলাই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। এ কথা জানার পরেও এই তিন দিনে মালিকপক্ষ থেকে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ পর্যন্ত শ্রম অধিদফতর ও নৌযান মালিক সংগঠন সমঝোতার কোনো উদ্যোগও নেয়নি। এ কারণে শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছে।
নদীপথে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, খোরাকি ভাতা ফ্রি করা, কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১১দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।