সাবেক অডিটর মজিবুর জাল জালিয়াতি করে নিয়েছেন সুযোগ সুবিধা; তিনি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা

Picsart_24-10-15_09-39-18-378.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

সাবেক অডিটর মজিবুর জাল জালিয়াতি করে নিয়েছেন সুযোগ সুবিধা; তিনি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা

অপরাধ প্রতিবেদকঃ জালিয়াতি করে নিরীক্ষা (অডিট) অধিদপ্তরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় দুই বছর অতিরিক্ত চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক নিরীক্ষক (অডিটর) মো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেছেন, সেটা ভুয়া বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাঁর চাকরির সুবিধাসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা আটকে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৯ সালের ২ জুলাই ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য এবং প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তরে জুনিয়র অডিটর হিসেবে যোগ দেন মজিবুর রহমান। ২০০৯ সালে অবসরের পর অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে অতিরিক্ত দুই বছর চাকরি করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেটভুক্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হলেও তিনি তা দিতে পারেননি। পরে তিনি একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিলেও মন্ত্রণালয় বলছে, মজিবুর রহমানের নামে কোনো প্রত্যয়নপত্র ইস্যু করা হয়নি। পাশাপাশি ‘ভুয়া-জাল প্রত্যয়নপত্র দাখিলকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

অডিট অধিদপ্তরের পরিচালক পলাশ বাগচী বলেন, ‘পেনশন সুবিধা নিষ্পত্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাগজসহ মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের সময় প্রতীয়মান হয় তাঁর কোথাও মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেই এবং প্রাতিষ্ঠানিক সনদেও অসংগতি রয়েছে। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১এ মামলার পর মজিবুর রহমানের অনুকূলে আদেশ হয়েছে। এ বিষয়ে অডিট অধিদপ্তর থেকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও একাডেমিক সার্টিফিকেট বস্তুনিষ্ঠ না থাকার পরও চাকরি জীবন শেষ করে সরকারি বাসা দখলে রেখে তিনি ২০ লাখ টাকার মতো রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করেছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মজিবুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ২০২১ সালে উপজেলা থেকে রাজনৈতিক কারণে তাঁর আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে করা আপিল এখন জামুকায় (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) নিষ্পত্তির জন্য রয়েছে। তবে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল তাঁর পক্ষে আদেশ দিয়েছেন।’ তাঁর দাবি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোতালেব তাঁকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।

চাকরি বিধি অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মজিবুর রহমান এলপিআরে যান। একই বছর ৩১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ ২ বছর বাড়ায় সরকার। তখন তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আরও ২ বছর চাকরির আবেদন করেন। এর পক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির আবেদনের অনুলিপি জমা দেন।

পরবর্তী সময়ে সনদ জমা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জাল প্রত্যয়নপত্র জমা দেওয়ায় ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়ার মত দেয় তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি অবসরের ৮ বছর ১ মাস ২৩ দিন বাসা ভাড়া এবং সরকারি পাওনা আদায়েরও পরামর্শ দেয় কমিটি।

এ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত ২ বছর চাকরিকাল গণনাসহ পেনশন সুবিধাপ্রাপ্তির জন্য মামলা করেন মজিবুর।

জানা গেছে, মজিবুর রহমানের সনদপত্র যাচাইকালে চাকরিতে প্রবেশকালে ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি হলেও সনদপত্রে বেশ কিছু অসংগতি দেখা গেছে। তাঁর এইচএসসির সনদের রেজিস্ট্রেশন যাচাইয়ের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডে চিঠি পাঠিয়েছে অডিট কার্যালয়।

আরও সংবাদ পড়ুন।

২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৮৭ লাখ কোটি টাকার অডিট আপত্তি; জাতীয় বাজেটের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি

আরও সংবাদ পড়ুন।

চাটুকার, দুর্নীতি পরায়ণ ও অযোগ্য সিএজি নূরুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি

আরও সংবাদ পড়ুন।

দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে অডিটরদের কর্মবিরতি; গণ–অবস্থান 

আরও সংবাদ পড়ুন।

ফরিদপুরের সাবেক জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

গৌরনদী’র সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সুধাংশু কুমার ও তার স্ত্রী পরমিতার বিরুদ্ধে – দুদকের মামলা

আরও সংবাদ পড়ুন।

নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অপচেষ্টা চলছে

আরও সংবাদ পড়ুন।

সারাদেশে অডিটরদের কর্মবিরতি, অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থায় স্থবিরতা

আরও সংবাদ পড়ুন।

সিএজি পদত্যাগ ও অডিটর পদকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে বিক্ষোভ চলছে

আরও সংবাদ পড়ুন।

ক্ষমতা খর্ব হলো অডিট কর্মকর্তাদের; নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতে পারবে না নিরীক্ষা বিভাগ

আরও সংবাদ পড়ুন।

বামনা উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তন্ময় গোস্বমী’র বিরুদ্ধে ঘুষ ও দূ্র্নীতি

আরও সংবাদ পড়ুন।

জনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করতে সিএজি’কে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top