দ্বীপজেলা ভোলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পায়নি ৫৪ হাজার দরিদ্র পরিবার; একাধিক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সাগর চৌধুরীঃ ৫ আগষ্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল পায় নি প্রায় ৫৪ হাজার দরিদ্র পরিবার। আর চাল না পেয়ে দু:খ ও কষ্টে জীবন কাটছে এই দরিদ্র পরিবারগুলোর।
গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে চাল দেয়ার কথা থাকলেও গত ৫ আগস্টের পর ডিলাররা লাপাত্তা হওয়ায় চাল পাননি সুবিধাভোগীরা।
তাই দ্রুত ডিলার নিয়োগ করে দরিদ্র পরিবারে চাল বিতরণ করার দাবি জানান সুবিধা বঞ্চিত পরিবাররা।
ভোলা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আহসানুল হক বলেন, প্রতি বছর মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর পাঁচ মাসে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। আর চাল বিতরণের জন্য জেলায় রয়েছে ১৭২ ডিলার। এরমধ্যে ১০৭ ডিলার না থাকায় চাল বিতরণ হয়নি কার্ডধারী প্রায় ৫৪ হাজার দরিদ্র পরিবারের মাঝে।
ভোলা সদর উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ২৩ ডিলার না থাকায় চাল পাননি প্রায় ১২ হাজার পরিবার, লালমোহন ও মনপুরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অবনি দাস বলেন, লালমোহন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ২৬ ডিলার না থাকায় ১৪ হাজার ৩৮৭ জন,
চরফ্যাশন উপজেলা খাদ্যের নিয়ন্ত্রক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, চরফ্যাশনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৫০ ডিলার না থাকায় ২৪ হাজার ৩৮৭ জন, মনপুরায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ৮ জন ডিলার না থাকায় ৩ হাজার ২৪৭ দরিদ্র পরিবার চাল পাননি।
চরফ্যাশন হাজারীগঞ্জ এলাকার সুবিধাভোগী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ডধারী জানান, তারা দরিদ্র পরিবার। চালের বাজারের দাম বেশি হওয়ায় পরিবারে ব্যায় ভার করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবে খাদ্য বান্ধবের চাল ১৫ টাকা কেজিতে ক্রয় করে বছরের ৫ মাস তাদের কষ্ট হয়না। কিন্তু এবছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে চাল পেলেও সেপ্টেম্বর মাসের চাল পাননি। আগামী অক্টোবর মাস ডিলার নিয়োগ না হলে হয়তো সুবিধাভোগীরা এই কর্মসূচীর চাল থেকে বঞ্চিত হবেন।
ভোলা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এহসানুল হক জানান, ভোলা জেলায় চার উপজেলা চরফ্যাশন, মনপুরা, লালমোহন ও ভোলা সদরে ১০৭ জন ডিলার না থাকায় আমরা নতুন করে ডিলার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। খুবই দ্রুত আমরা ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এই চার উপজেলায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগ হলে জেলার ৫৪ হাজার সুবিধাভোগী দরিদ্র পরিবার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর সুবিধাভোগ করবে।
এদিকে, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি চাল বিতরনে একাধিক অনিয়ম ও দূর্নীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা, পক্ষিয়া,কাচিয়া ইউনিয়ন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
দৌলতখান উপজেলার পৌরসভা ও সৈয়দপুর ইউনিয়ন, চরপাতা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
ভোলা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজাদ জাহান বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করব।
আরও সংবাদ পড়ুন।
সাবেক খাদ্য সচিব বরুণ দেব মিত্রের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ
আরও সংবাদ পড়ুন।
খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তা কর্মচারীদের রুখবে কে! অবৈধ মজুতে অসাধু কর্মকর্তাদের হাত
আরও সংবাদ পড়ুন।
ফরিদপুরে উপ-খাদ্য কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন দুদকের হাতে গ্রেফতার
আরও সংবাদ পড়ুন।
সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা শেখ মঈন উল ইসলামের বিরুদ্ধে – দুদকের মামলা
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
সরকারি চাকুরীজীবিদের আয়কর রিটার্ন বাধ্যতামূলক; রিটার্ন জমা না দিলে বেতন বন্ধ
আরও সংবাদ পড়ুন।
সংসদে উত্থাপন – অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুতের শাস্তি; কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড