বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, ডাক্তারদের অফিস টাইমে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্যাকটিস করা, সরকারি ঔষধ সাধারণ জনগনকে না দিয়ে বিক্রী করা, রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে অযাচিত এবং অশোভন ব্যবহার করার অভিযোগ করেন, স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা।
সাগর চৌধুরীঃ বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা’র মান দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা বেতন দিয়ে সরকারি ডাক্তার পুষলেও সেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এই হাসপাতালের সেবা নিতে আসাটাও এক বিড়ম্বনার বিশাল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা, অফিস টাইমে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্যাকটিস করা, সরকারি ঔষধ সাধারণ জনগনকে না দিয়ে বিক্রী করাসহ রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে অযাচিত এবং অশোভন ব্যবহার করার অভিযোগ করেন, স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতালের দায়িত্বরতরা হাসপাতাল থেকে দালাল মুক্ত করার কথা সাধারণ জনগনের সামনে বললেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাক্তারা সিন্ডিকেট করেই দালাল পোষে এবং তাদের মাসেহারা দেয়। কারণ, বাহিরে প্যাকটিসের নামে ডাক্তাররা যে চিকিৎসা সেবার নামে গলা কাটে তার পুরটাই দালাল নির্ভর ব্যবসা নট সেবা। এই দালালরা সিন্ডিকেটের বাহিরে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান পরিচালনা করে।
অফিস টাইমে প্রাইভেট ক্লিনিকে প্যাকটিস করতে গিয়ে ডাক্তারগণ একাধিক টেষ্ট ও অহেতুক ঔষধ লিখে সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার নামে গলা কাটেন, অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সামাজিক ও গণযোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেও প্রতিকার পাচ্ছে না।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ভবনে এই তীব্র গরমে ১২টি ফ্যানের ভেতর পাঁচটি ফ্যান আছে। পরিস্কার পরিছন্নতার জন্য বাজেট থাকলেও হাসপাতালের করিডোর ও বেডে মশা-মাছিসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বাসা বেঁধেছে। তাহলে বাজেট দিয়ে কি করা হয় ?
হাসপাতালের অনেকগুলো বাথরুম থাকলেও অপরিষ্কার, অপরিছন্ন ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত, এমনকি বাথরুমের দরজার সিটকিনি পর্যন্ত নেই। ময়লা, আর্বজনাতে পরিপূর্ণ। এগুলো পরিস্কার ও পরিছন্ন করে রাখা কার দায়িত্ব ? মাস শেষে বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছেন কিন্তু যে সেবার জন্য বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছেন সেই সেবার কতটুকু দিচ্ছেন ডাক্তারগণ ?
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকারের বরাদ্দ দেওয়া বেডসিট, বালিশের কাভার রোগীদের দেওয়া হয় না। তাহলে এই বাবদ খরচের হিসাব প্রতিমাসে কোথায় যায়?
হাসপাতালে ঢুকতে দুর্গন্ধ নাকে লাগে। যদিও ডাক্তারগণ এই দুর্গন্ধ সইতে পারলেও সাধারন মানুষ ও ভুক্তভোগীরা পড়েন বিপাকে।
ডাক্তারদের আচার-আচরণ ডাকাতের মত। নার্স আর আয়াদের আচার-আচরণ আর কি হতে পারে এমনই প্রশ্ন স্থানীয় ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর স্বজনদের।
হাসপাতালে গণমাধ্যম কর্মী বা সাংবাদিক পরিচয় দিলে স্বনামধন্য ডাক্তার রুপী কসাইরা জানতে চান – হাসপাতালের ঢোকার পারমিশন নিয়ে আসছেন?
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালটি রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে যেকোন সময় গণমাধ্যম কর্মীরা অবাধে প্রবেশ করবে – এমনটাই বলা হয়েছে। তারপরও ডাক্তার রুপী ডাকাতরা কার কাছে অনুমতি নিতে বলেন ?
স্থানীয় বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের কাছে হাসপাতালের বিষয়ে জানতে, অফিস টাইমে অফিসে উপস্থিত হয়ে, তাদের বক্তব্য জানতে গিয়েও অফিসে পাওয়া যায় নি।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম ও নানা রকম দূর্নীতির বিষয়ে জানতে ভোলা জেলার সিভিল সার্জন এর মুঠোফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
বোরহানউদ্দিনে মিথ্যা তথ্য ও অবৈধ ডাক্তার পরিচয় দানের অভিযোগে এগারো হাজার টাকা জরিমানা
আরও সংবাদ পড়ুন।
বোরহানউদ্দিনে হারুন মাষ্টার বাড়ি (মডেল) কমিউনিটি ক্লিনিক”টি প্রায় বন্ধ; সেবা পায় না স্থানীয়রা
আরও সংবাদ পড়ুন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু টেষ্ট কিট ও স্যালাইন নেই; রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত –
আরও সংবাদ পড়ুন।
জনমনে ক্ষোভ; বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবৈধ স্থাপনা
ভিডিও চিত্র দেখুন।