জেলা প্রতিনিধিঃ আজ রবিবার (৭ এপ্রিল ২০২৪) ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। বহু গাছপালা সহ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে।
সম্প্রতি সময়ে এমন ঘূর্ণিঝড় দেখেনি ভোলার মানুষ। তবে, সকাল থেকেই বৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছিল জানান, স্থানীয়রা।
ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তিব্র বাতাসে ঘরবাড়ি’র টিন উড়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। ধারনার চেয়েও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশী হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ভোলার লালমোহনে পৃথক স্থানে বজ্রপাত ও ঘরচাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ সকালে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নে বজ্রপাতে মো. বাচ্চু (৩৫) ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নে ঘরচাপায় হারিছ আহমেদ (৭০) নিহত হন।
নিহত বাচ্চু চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চরলেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও হারিছ ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তোহিদুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখীতে প্রায় ২শ’ ঘর ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। আমরা তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করবো
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কাচিয়া ইউনিয়ন, পক্ষিয়া ইউনিয়ন সহ আরও কিছু ইউনিয়নে ঘড় বাড়ি ভেঙ্গে পড়ার সংবাদ পেয়েছি। বিস্তারিত জেনে জানাব।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঝড়ে লালমোহন উপজেলায় নিহত দু’জনের পরিবারকে জনপ্রতি ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রচুর গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তজুমদ্দিন, মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে লালমোহন উপজেলায় ৮ মেট্রিক টন চাল, মনপুরায় ৫ মেট্রিক টন চাল ও তজুমদ্দিনে ৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে
আরও সংবাদ পড়ুন।
আরও সংবাদ পড়ুন।
ভোলায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে
আরও সংবাদ পড়ুন।