রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেবে না পুলিশ

Picsart_22-10-23_15-45-12-405.jpg

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

বিশেষ প্রতিবেদকঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, নিবন্ধিত দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে পুলিশের কোনো বাধা নেই। এক্ষেত্রে নাক গলানো বা মাথা ঘামানো পুলিশের কাজ না। রাজনীতির সংস্কৃতি অনুযায়ী মিছিল-মিটিং-সমাবেশ হবে। তবে রাজনীতির নামে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো ও কঠোর হস্তে জঙ্গি দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এসব কথা বলেন, ডিএমপি কমিশনার।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, রাজনৈতিক দলের কাজ রাজনীতি করা। আমাদের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। কেউ যদি রাজনীতির নামে গাড়ি ভাঙচুর করে, রাজনীতির নাম নিয়ে গাড়িতে আগুন দেয়, রাস্তার গাছ কেটে অবরোধ করে তাহলে এগুলো ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে যায়। ফৌজদারি অপরাধ করলে আমরা কঠোর হস্তে দমন করব, নিয়ন্ত্রণ করব। তবে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফৌজদারি অপরাধ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা করব।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানাকে আমরা গণমুখী, সেবামুখী করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলো ঠিকভাবে চলছে কি না বা জনমানুষ সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে কিনা সে বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি। এছাড়াও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ভিন্ন ভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের আগে জানিয়ে দেন, তার থানায় সেবা নিতে কোনো টাকা লাগে না। তিনি বলেন, চাকরি জীবনের ৩২ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নগরবাসীকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেষ্ট থাকব।

মাদক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নতুন কমিশনার বলেন, দুই পদ্ধতিতে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। পদ্ধতিগুলো হলো মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের বিচ্ছিন্ন করা এবং মাদকসেবীদের চিকিত্সা দিয়ে সুস্থ করে ডিমান্ড কমানোর ব্যবস্থা করা। এজন্য আমি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব তারা যেন মাদকসেবীদের চিকিত্সায় হাসপাতালগুলোর মান উন্নয়ন করে এবং হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ায়।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে জঙ্গিদের তত্পরতা কমছে না। আমাদের পুলিশ ও জনগণের অ্যাকশনের ফলে তারা পুরোপুরি শান্ত হয়ে যায়। কয়েক বছর পরও তারা আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের এই তত্পরতাকে বন্ধে পুলিশের সাইবার বিভাগের ২৪ ঘণ্টা নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। জঙ্গি তত্পরতা রোধে নগরবাসীর কাছ থেকে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংরক্ষণ কাজটি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

যানজট নিরসন প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা শহর পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠেনি। সে কারণে এখানে বিভিন্ন কারণেই যানজট লেগে থাকে। তাছাড়াও রাজধানীতে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে, সেটাও একটি কারণ। এই অবস্থার মধ্যেও কীভাবে নগরবাসীকে যানজট মুক্ত রাখা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। সড়কে অবৈধ পার্কিং রোধে কাজ করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে পার্কিং জোন তৈরি করা যায় কিনা সেটা নিয়েও কাজ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top