আবারও কমলো জমির রেজিস্ট্রেশন কর

Picsart_23-01-11_22-59-43-225-scaled.jpg

পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই মাসে ঢাকার ১৭ সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে মাত্র ৩২ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ হয়। যেখানে একই সময়ে গত বছর এসেছিল ১০১ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে এ বছরের জুলাইয়ে জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন বাবদ ৬৯ কোটি টাকা কম কর আদায় হয়েছে। আগস্ট মাসেও একই ধারা অব্যাহত ছিল।

চলতি অর্থ বছরে এই খাত থেকে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। অর্থাৎ এই খাত থেকে রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে। তাই এনবিআর করের মাত্রা সহনশীল করতে চায়।

সাগর চৌধুরীঃ সারাদেশে একযোগে জমির নিবন্ধন কর বাড়ানোর ফলে, সরকারের রাজস্ব আহরন কম হচ্ছে। দফায় দফায় সাধারণ জনগনের একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কম খরচ করে জমি নিবন্ধন করার বিষয়ে অবশেষে একমত হলো সরকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমি নিবন্ধন কর কমানো হয়েছে।


আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৩) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকাসহ উল্লেখিত কিছু কিছু এলাকায় অবিস্থত জমিকে মৌজা অনুযায়ী জমির নিবন্ধন(রেজিস্ট্রেশন) কর আবারও কিছুটা কমানো হয়েছে। এই চার শ্রেণির এলাকায় আগের চেয়ে কম খরচ করে জমি নিবন্ধন করা যাবে। দুটিতে কর হার ৮ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। আর দুই শ্রেণিতে টাকার অঙ্ক কমানো হয়েছে।

এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া এলাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা প্রযোজ্য হবে।

একইভাবে ঢাকার খিলক্ষেত বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও রূপগঞ্জ থাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে জমির মূল্যের ৮ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার ভূমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা—যেটি কম হবে, তা কর হিসেবে দিতে হবে।

চট্টগ্রামের খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানা, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, সদর, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা ও টঙ্গীর ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে মূল্যের ৬ শতাংশ করহার আগের মতো বহাল আছে। তবে কাঠাপ্রতি করের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি মূল্য ৫০ হাজার টাকা—যেটি কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।


একইভাবে ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই এবং চট্টগ্রামের আকবর শাহ, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, সদরঘাট এলাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ঙ শ্রেণির মৌজার কর কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর ফলে নিবন্ধনের সময় জমির মূল্যের ৬ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ হাজার টাকা—যা কম হবে, তা প্রযোজ্য হবে।

গত অক্টোবর মাসে যখন মৌজা ভিত্তিতে করহার নির্ধারণ করা হয়, তখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরে অবস্থিত জমিকে মৌজা অনুযায়ী ক থেকে ঙ—এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।


চলতি অর্থবছরে গতবছরের ঠিক একই সময়ে ভূমি নিবন্ধন কর হিসেবে সরকার যে রাজস্ব পেয়েছে এবার তার চেয়ে অনেক কম। ফলে, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের সাব-রেজিস্টার অফিসগুলোতে গতবছরের চেয়ে এবার কম জমি নিবন্ধন হয়েছে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধনে কমছে কর; জুলাই ও আগস্ট মাসে ২০-৩০ শতাংশ রাজস্ব কম আদায়

আরও সংবাদ পড়ুন।

আজ থেকে জমি রেজিস্ট্রেশনে নতুন মৌজা রেট কার্যকর

আরও সংবাদ পড়ুন।

জমি ক্রয়-বিক্রয় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু আগামী বছর থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top