শাহানা সিরাজী। ফাইল ছবি।
বহুদিন পেরিয়েছে এক পলকে দেখি না শীতলক্ষ্যার ভেজাজল।
বস্টনে শরৎকাল যেন রোমাঞ্চকর পৃথিবী!
আকশের রঙ মানুষের মনের মতোই।
কাশফুলগুলো নিজেকে উদগারিত করতে গিয়ে এক চিমটি ধরে রেখেছে!
মানুষের ব্যস্ততাকে রঙিন করে তুলেছে পত্রঝরা বৃক্ষ।
আমাদের চিরহরিৎ মন চিরহরিৎ বনের সাথে মিশে অন্য রকম আলেয়ায় ঝলমল আমরা নিজস্ব সত্ত্বায় বাঙালি,
ঘনবসতিকে আঁকড়ে ধরে যেমন ভালো আছি তেমনি টক্সিক জীবনেও অভ্যস্ত।
ম্যাপলের অরণ্যে বসতি কম, মানুষের ভেতর ঘড়ি-কাঁটা প্রাণ ছটফট করছে-কিসে শান্তি!
দৌড় দৌড় দৌড়, সারি সারি গাড়ি বোবাভাষায় বাক বিনিময় করছে, এক ইঞ্চি হাসি আর ছোট একটি শব্দ ‘হ্যালো’ শুকনোপাতার সাথে মিশে যায়!
ম্যাপলের পাতার মতোই অর্থনীতি
কেউ রঙিন
কেউ ধুকে ধুকে বাঁচে
ঠিক কাশফুলের বুকে ঘটে যাওয়া ঘটনা,বসতি তোলা আমাদের মনকে ভাটিয়ালি জারি সারিতে ডুবিয়ে দিলেও ম্যাপলের ঝরা পাতায় ডুব দিতে পারি না
ধুলোঝড়ে একাকার হলেও আমার মাতৃভূমি
আমার প্রাণের মতোই সুন্দর।
আমার মাতৃভূমির ভ্যাপু বাজানো লোকালগাড়ি,রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে থাকা অনেক শান্তির পরদেশীর মাপা কথা, স্লাইস জীবন খানিক এডভেঞ্চার দিলেও
বর্ষার কাদাজলের ডাক বড়ই মধুর।
আমার দেশে আমি বুক উঁচিয়ে বলি –
যাবে নাকি খালি- গুলিস্তান যাবো
এখানে বসে থাকি ছেলের অপেক্ষায় কিংবা অন্য কারো…
শাহানা সিরাজী
কবি,প্রাবন্ধিক ও কথা সাহিত্যিক।
আরও পড়ুন।
আরও পড়ুন।
আরও পড়ুন।