বিশেষ প্রতিবেদকঃ আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রদিবেদন নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
একই স্থানে দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোটার্স এগেইনস্ট করাপশন র্যাক এর নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথেও মতবিনিময়ে অংশ নেন তিনি।
এ মতবিনিময় সভায় দদুক চেয়ারম্যান ২০১৯ সালে কমিশন কর্তৃক সম্পাদিত কার্যক্রমের বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাঁর নির্দেশনা অনুসারেই আমরা দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। বিগত বছরগুলোতে আমরা মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সমালোচকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি।
তিনি বলেন , আমরা কমিশনে যোগ দিয়েই বলেছিলাম কমিশন সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। কারণ সমালোচনার মাধ্যমে কর্মপ্রক্রিয়ার ভুল-ত্রæটি উদঘাটিত হয়, যা সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে পরিশুদ্ধ করা যায়। আজ আমরা বলতে পারি কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই কমিশনে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, গত বছর থেকে ২০১৯ সালে মামলা এবং চার্জশিটের পরিমাণ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। মামলা এবং চার্জশিটের গুণগত মান নিশ্চিত করার কারণেই কমিশনের মামলায় সাজার হার ৬৩ শতাংশে ্উন্নীত। আমরা চাই কমিশনের মামলায় সাজার হার হবে শতভাগ। তবে আশার কথা আমরা যতটা জেনেছি ২০২০ সালে কমিশনের মামলায় সাজার হার ৭৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই । দুদক এক্ষেত্রে প্লাটফরম হিসেবে কাজ করছে।
মতবিনিময় সভায় দুদক কমিশনার ড.মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুদক বিগত বছরগুলোতে মূলত প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ কৌশল পরিচালনা করছে। প্রশাসনিক কৌশলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সহজ।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল বলেন, আমরা দিবা-রাত্রি পরিশ্রম করেছি মামলার অনুসন্ধান-তদন্তের নথি পর্যালোচনা করছি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মামলা সাজার হার বাড়ছে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রেখেছেন দুদকের সচিব ড.মুহা: আনোয়র হোসেন হাওলদার, র্যাকের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফয়েজ।