৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেকে

Picsart_22-11-22_23-17-37-450.jpg

একনেকে ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

বাসস

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বাংলাদেশের  ২২টি উপকুলীয় শহর অথবা পৌরসভার জলবায়ু এবং দুর্যোগ সহনশীলতা জোরদার করার লক্ষ্যে ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকার একটি ‘উপকুলীয় শহর জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প’ (সিটিসিআরপি)  অনুমোদন করেছে।

আজ রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে  প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। 

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, আনুমানিক ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২১ লাখ টাকার সর্বমোট ৮টি প্রকল্পের আজ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের সর্বমোট ব্যয়ের ২ হাজার ৩৪১ কোটি ২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন থেকে আসবে। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৭৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা আসবে এবং অবশিষ্ট ২ হাজার ২০৭ কোটি টাকা আসবে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে।’ বিফ্রিংয়ের সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ঠ সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০২৯ সালের জুনের মধ্যে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কুমিল্লা সড়ক বিভাগাধীন ৪টি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; ‘লেবুখালী-বাউফল-গলাচিপা-আমড়াগাছিয়া জেলা মহাসড়কের ৭০ কিলোমিটারে রাবনাবাদ নদীর উপর রাবনাবাদ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প এবং ট্রান্সপোর্ট মাস্টার প্লান এবং চট্রগ্রাম নগরীতে মেট্রোরেল নির্মাণের সম্ভ্যাবতা যাচাই প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু’ প্রকল্প; ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগ (১ম সংশোধিত)’ (৫ম বার মেয়াদ বৃদ্ধি) প্রকল্প; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্প। এছাড়া প্রকল্প সমুহের মধ্যে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,জলাধার পুনরুদ্ধার, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাঃশনের মতো শহরের বন্যা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নতিতে অবকাঠামো নির্মাণসহ উপকুলীয় শহরগুলোতে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণের উন্নয়ন। 

এছাড়া, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণসহ আগাম সতর্কবার্তা পদ্ধতি স্থাপন করে প্রয়োজনে বয়োবৃদ্ধ, নারী, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। ব্রীজ, কালভার্ট ও সড়ক এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাঃশনের  জন্য ড্রেনেজ নির্মাণ।

পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষি মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top