পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ টাকা
জেলা প্রতিনিধিঃ আমদানি কমের অজুহাতে একদিনের ব্যবধানে ফের দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা।
গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩৭/৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ৩৯-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে গত তিন দিন ধরেই একইদামে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে ১০০-১১০ ও ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এর আগে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিলো।
স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে সম্প্রতি ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় গত দুই সপ্তাহ থেকেই ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। এ কারণে আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে আমদানিও কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও, বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমেছে। বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৯ ট্রাকে ৪৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে সাউথের নতুন জাতের পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে, এতে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাহিদা মেটাতে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা হওয়ার কারণে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এতে সে দেশের বাজারেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর আমাদেরও বেশি দামে কাঁচা মরিচ কিনতে হচ্ছে, এতে দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারতের নাগপুর, গুলডাঙ্গা ও বিহার অঞ্চল থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হলেও, বর্তমানে শুধুমাত্র বিহার থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। এ কারণে সরবরাহ কমেছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ৩০/৩৫ ট্রাক কাঁচামরিচ আমদানি হতো, সেখানে বর্তমানে ১৮/২০ ট্রাক করে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে।
দেশীয় কাঁচা মরিচ বাজারে না আসা পর্যন্ত আমদানি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি থাকবে বলে জানান তিনি।