আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়ল
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আবার ‘সেঞ্চুরি’ করল পেঁয়াজ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম আবার ১০০ টাকা ছাড়াল। সোমবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও শান্তিনগর বাজার সহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। অন্যদিকে মানভেদে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। ফলে নতুন করে আবার ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, ভারত আগের এলসির (ঋণপত্র) কিছু পেঁয়াজ ছাড় করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছিল; কিন্তু নতুন করে আর ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে না। এছাড়া দেশি পেঁয়াজের মজুতও এখন শেষের দিকে। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে মিয়ানমার ও মিশর থেকে আসা পেঁয়াজের ওপর; কিন্তু মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান ভালো না হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ কম। এছাড়া যে পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে তা চাহিদার তুলনায় কম।
উল্লেখ্য, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলে গত মাসের শেষের দিকে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে যায়। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১৩০ টাকায় পৌঁছে যায়। পরে সরকারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানসহ নানা উদ্যোগে দাম ৭৫ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে এলেও এখন আবার ১১০ টাকায় পৌঁছে গেছে।
গতকাল রাজধানীর সবচেয়ে বড়ো পাইকারিবাজার শ্যামবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া কাওরান বাজারে দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। এ হিসেবে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, অক্টোবরের শেষে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হলে বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যবসায়ী অসত্ উপায়ে পেঁয়াজ মজুত করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) হিসাবে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ উত্পাদিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, এই সময়ে আমদানি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৯২ হাজার টন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ও জোগানের কোনো সঠিক হিসাব নেই।