নোবেল জয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

20191014_235844.jpg

নোবেল জয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল পাওয়ার সংবাদে তাঁর শহর কলকাতায় খুশির জোয়ার শুরু হয়েছে। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। এবার পেলেন অভিজিৎ। তাঁর পুরো নাম অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনেরই ছাত্র অভিজিৎ।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাপড়া কলকাতায়। তাঁর বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতার তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক। অভিজিতের জন্ম মুম্বাইতে ১৯৬১ সালে হলেও তাঁর শৈশব কেটেছে কলকাতায়। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি নিয়ে চলে যান দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে। সেখান থেকে তিনি চলে যান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে ‘ইনফরমেশন ইকোনমিকস’-এর ওপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি করেন।

সোমবার অর্থনীতিতে তিনজনের নোবেল প্রাপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিরা হলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, এস্তার দুফলো ও মাইকেল ক্রেমার। অভিজিতের স্ত্রী দুফলো।

দারিদ্র্য দূরীকরণে অসামান্য গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ এবার এই তিন অর্থনীতিবিদকে নোবেল দেওয়া হয়। অভিজিৎ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক। তবে তিনি এখনো একজন আদ্যন্ত বাঙালি। বাংলায় কথা বলেন, লেখেন। কলকাতায় আসেন বিভিন্ন সেমিনারে যোগ দিতে। ২০১২ সালে স্টার আনন্দের সেরা বাঙালি সম্মাননা পান তিনি।

অভিজিৎ ও দুফলোর দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে লেখা ‘পুওর ইকোনমিকস’ বইটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়। অধ্যাপক অমর্ত্য সেনও সেই বইয়ের প্রশংসা করেন।

অভিজিতের নোবেল প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ দেশকে গর্বিত করলেন। বাঙালির মুখ উজ্জ্বল করলেন। আমাদের গৌরব বাড়ালেন। অর্থনীতিতে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।’

কলকাতার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অভিক সরকার বলেছেন, অমর্ত্য সেনের পর অভিজিৎ অর্থনীতিতে নোবেল পেয়ে বাঙালির গৌরব বাড়ালেন। দারিদ্র্য দূরীকরণে নতুন দিশা দিলেন। এ খবরে প্রেসিডেন্সি কলেজে খুশির হাওয়া বইছে। ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অপেক্ষা করছেন, কবে তিনি কলকাতায় এসে এই কলেজে (এখন বিশ্ববিদ্যালয়) পা দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top