ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেফতার ১ : দেহ তল্লাশি করে আরো ঘুষের টাকা উদ্ধার
সাগর চৌধুরীঃ আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের একটি বিশেষ টিম ৩ হাজার টাকা ঘুষসহ ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত জনৈক প্রধান শিক্ষক পবিত্র হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে একটি পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট অফিসে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে টাকা জমাদানের চালান, জাতীয় পরিচয়পত্র সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেন।
প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদিসহ ফরমটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়ার পরই ঐ অফিসের জনৈক অফিস সহকারী তাঁর নিকট ঘুষ দাবি করেন। তিনি ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে একই অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ আতিকুল ইসলামকে পাসপোর্টটি করে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আতিকুল ইসলামও তাঁর নিকট ঘুষ দাবি করেন এবং বলেন বেশি বিরক্ত করবেন না, করলে পাসপোর্টই পাবেন না।
এই শিক্ষক বাধ্য হয়েই ঘুষ প্রদানে সম্মত হন এবং বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করেন। কমিশন সকল বিধি-বিধান অনুসরণ করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুর এর সহকারী পরিচালক মোঃ আহসানুল কবীর পলাশের নেতৃত্বে ফাঁদ অভিযান পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের একটি বিশেষ টিম গঠন করে।
এই টিমের সদস্যরা সকাল থেকেই বিশেষ কৌশলে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চারিদিকে ওত পেতে থাকেন। বেলা ১২টার দিকে নিজ দপ্তরে বসে ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ আতিকুল ইসলাম যখন ঐ সাবেক প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে ঘুষের ৩ হাজার টাকা গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে দুদক টিমের সদস্যরা। এসময় মোঃ আতিকুল ইসলামের দেহ তল্লাশি করে আরো ১৮ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তিনি দুদক টিমের সদস্যদের নিকট এই টাকার কোনো বৈধ উৎস জানাতে পারেননি এবং পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন এই ১৮ হাজার টাকাও পাসপোর্ট নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে আদায় করা ঘুষের টাকা।
এবিষয়ে দুদক সজেকা দিনাজপুরের উপসহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
দুদক প্রদান কার্যলয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।