শিক্ষক নারী ও শিশু পেটানো ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

PicsArt_09-13-06.10.23.jpg

শিক্ষক নারী ও শিশু পেটানো ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লায় সালিশের নামে এক মাদরাসা শিক্ষক, নারী ও শিশুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ অধিশাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রবিবার এ তথ্য জানা গেছে।

জাহাঙ্গীর জেলার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ এপ্রিল সকালে দেবীদ্বার উপজেলার বেতরা গ্রামের গৃহবধূ আমেনা আক্তারের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে ওই গৃহবধূর স্বামী মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমানকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম তার বাড়িতে ডেকে নেন।

বিচারের নামে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন চেয়ারম্যান। ঘটনার একদিন পর স্থানীয়রা তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নির্দেশে এক সপ্তাহ পর গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন আহত ওই শিক্ষক। অপর ঘটনায় একই ইউনিয়নের উখাড়ী গ্রামের ওয়ালি উল্লাহর স্ত্রী কাজল বেগম ও তার শিশু পুত্র শরীফকে ওই চেয়ারম্যান একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় আহত কাজল বেগম বাদি হয়ে গত ১৯ এপ্রিল চেয়ারম্যান ও তার ভাতিজা শামীমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে দুটি মামলার তদন্ত শেষে থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর আদালতে তা গৃহীত হয়। গত ১২ আগস্ট দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক পত্রে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন মোতাবেক চার্জশিটভুক্ত ওই চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, দুটি মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী ওই চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদি মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমান জানান, আমার কোনো বক্তব্য না শুনেই চেয়ারম্যান মেয়েসহ অন্যদের সামনেই আমাকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে পুরো শরীর রক্তাক্ত করেছিল। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে আমি ন্যায় বিচার পেতে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top