ভোলায় কোষ্টগার্ডের সেচ্ছাচারিতা; শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হয়েও মানছেন না শৃঙ্খলা

ভোলায় কোষ্টগার্ডের সেচ্ছাচারিতা; শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হয়েও মানছেন না শৃঙ্খলা। ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ কোর্ষ্টগার্ডের অফিসারের জন্য।

সাগর চৌধুরীঃ আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল ২০২৫) দুপুর দুইটা ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে দোয়েল লঞ্চ। যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছেন। হঠাৎ থেমে গেল হুড়োহুড়ি । কিন্তু দোয়েল লঞ্চ সময় মত ছাড়ছে না!

৫ মিনিট ১০ মিনিট ১৫ মিনিট ২০ মিনিট পর ইলিশা লঞ্চঘাটে দেখা গেল কোষ্টগার্ডের গাড়ি। গাড়ি থেকে স্যার নামলেন। স্যারের সাথে থাকা পাইক পেয়াদা স্যারকে লঞ্চে তুলে দিলেন।

২০ মিনিট পর দোয়েল লঞ্চ ছাড়লো।

একজন কোষ্টগার্ডের অফিসার বা সৈনিক নিসন্দেহে দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করেন। আমরা গর্ব করি আমাদের চৌকস কোষ্টগার্ড আছে।

কিন্তু আপনি কোষ্টগার্ডের হেডম ওয়ালা অফিসার! আপনার শক্তি অনেক। আপনার জন্য শত শত যাত্রীর অপেক্ষা করছে। আপনার জন্য যাত্রাশুরু করা একটি নৌযান বন্ধ করে দাড়িয়ে আছে ২০ মিনিট।

আপনি কোষ্টগার্ডের গর্বিত সদস্য।

আপনার চাকরির প্রথম শর্ত, আপনার দ্বারা দেশ ও রাষ্ট্রের জনগণ কষ্টপাবে না। আপনার হাত ও মুখ দ্বারা রাষ্ট্রের নাগরিকদের ক্ষতি হবে না। আপনি রাষ্ট্রের নাগরিকদের সেবা দিবেন।

আপনি কোষ্টগার্ডের সদস্য হয়ে ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটে অনিয়ম করেছেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি পাবলিক ট্রন্সপোর্টকে বাধ্য করেছেন ২০ মিনিট লেট করতে। এটা কি আপনি পারেন? রাষ্ট্র কি আপনাকে এই
ক্ষমতা দিয়েছে ?

এই বিষয়ে জানতে দোয়েল লঞ্চের মালিক রুহুল আমিনকে প্রশ্ন হয়! দোয়েল লঞ্চ ভোলার ইলিশালঞ্চঘাটে ২০ মিনিট লেট কেন করেছে ?

জবাবে দোয়েল লঞ্চের মালিক রুহুল আমিন বলেন, এটা হয়েছে কোষ্টগার্ডের একজন অফিসার আসতে লেট কারার কারণে। স্যার আসতে লেট করেছেন। তাই ইলিশালঞ্চঘাটে লেট করেছে ভাই।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টির জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী ভাই। জনসাধারণের কাছেও আমি ক্ষমা প্রার্থী। এমন আর হবে না।

ইলিশা লঞ্চঘাটের দায়িত্ব পালন করছেন এমন একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাবলিক লঞ্চ সময় মতই ছেড়ে যাবে। কোন বিশেষ কর্মকর্তার
জন্য পাবলিক লঞ্চ দাড়ানোর কথা নয়। আইন তাই বলে। কিন্তু কোষ্টগার্ডের একজন অফিসারের জন্য ইলিশাঘাটে ২০ মিনিট লঞ্চ দাড়িয়ে থাকবে এটা কাম্য না।

এই বিষয়ে ভোলার কোষ্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা কাছে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top