শাস্তি নয় বরং সচেতনতার মাধ্যমেই ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Picsart_24-10-05_17-10-00-570.jpg

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

বিশেষ প্রতিবেদকঃ মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছেন, ১৩ই অক্টোবর হতে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বিপণন ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। আর এসময় জেলেদের শাস্তি নয় বরং সচেতনতার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আজ দুপুরে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত “ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪” উপলক্ষ্যে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেছেন, ৫ই আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবার সহযোগিতায় তা পূরণ করা সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেছেন, অসাধু চক্র তাৎক্ষণিক মুনাফা অর্জন করতে চায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পরামর্শ করে এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রকৃত জেলেরা যেন সরকারি সহায়তা পান তা নিশ্চিত করতে স্হানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

ইলিশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। এসময় যদি ইলিশ মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশের মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ( ভারপ্রাপ্ত) সাদিয়া জেরিন এর সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী, শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মো: নজরুল ইসলাম, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ,
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: হাদি উজ্জামান, মৎস্যজীবী, ব্যবসায়ীরা সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার নড়িয়া-ভেদরগন্জ ইলিশের অভয়াশ্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য,শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার ইলিশের অভয়াশ্রম। নড়িয়া উপজেলার ৫ কিলোমিটার ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৫ কিলোমিটার মোট ২০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে মৎস্য বিভাগ। মা ইলিশ ডিম দেওয়ার পর ওই অভয়াশ্রমে তা বেড়ে ওঠে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

উৎপাদন খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ীমূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আরও সংবাদ পড়ুন।

মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

আরও সংবাদ পড়ুন।

মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণির এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আরও সংবাদ পড়ুন।

বঙ্গভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top