চাকরির নামে প্রতারণা, আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
জেলা প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে বাপ্পীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী ভাইস চেয়ারম্যান থাকার সময়ে ২০১৭ সালে উপজেলার সৈয়দগ্রাম গ্রামের রফিকুল ইসলামের (৫৪) কাছ থেকে তাঁর ছেলে সুজন মিয়াকে রাজউকে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাত লক্ষ টাকায় চুক্তি করে তিন লাখ টাকা নেন। পরে চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশও হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পী অগ্রণী ব্যাংক মুক্তাগাছা শাখায় তাঁর নিজ নামের সঞ্চয় হিসাবের অনুকূলে এক লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক দেন রফিকুলকে। ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে টাকা না থাকায় তা প্রত্যাখ্যান হয়। পরে রফিকুল দেবাশীষের কাছে টাকা চাইলে তাঁকে গালাগালসহ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেন।
রফিকুল ইসলাম দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পীকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন। এ মামলায় বাপ্পী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সূত্র জানায়, বিগত মুক্তাগাছা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ায় দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পীকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।