পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বানিজ্য – মাদারীপুরের সাবেক এসপি সুব্রত কুমারের বিরুদ্ধে

Picsart_23-07-06_09-25-31-860.jpg

অপরাধ প্রতিবেদকঃ পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৭ প্রার্থীর কাছ থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

প্রধান আসামি সুব্রত কুমার হালদার বর্তমানে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে যুক্ত আছেন। গত বছরের ৫ জুলাই সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হলো।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন।’

দুদক সূত্র জানায়, সুব্রত কুমার হালদার বাদে অন্য আসামিরা হলেন মাদারীপুর পুলিশ লাইনসের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (শহর উপপরিদর্শক) গোলাম রহমান। মামলায় নাম থাকা ছয় আসামির মধ্যে মাদারীপুর সদর থানার বাসিন্দা মো. হায়দার ফরাজিকে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সুব্রত কুমার হালদার ২০১৯ সালে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৬ জুন মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে ৫৪ জনকে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

ওই নিয়োগ চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ। ওই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় ছয়টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এবং আদালতের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন দুদকে পাঠানো হয়।

দুদক তদন্তকালে জব্দ করা ৩২টি লিখিত পরীক্ষার খাতা ও আনুষঙ্গিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের চিহ্ন এবং অতিমূল্যায়নের প্রমাণ পায়।

দুদকের অনুসন্ধানে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মোট ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার (৫২) চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে অপরাধমূলক আচরণের মাধ্যমে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলি লঙ্ঘন করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের এডিসি কামরুল ও স্ত্রীর ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকে আদালতের আদেশ

আরও সংবাদ পড়ুন।

বরিশালের ডিআইজি জামিল হাসান এর এত সম্পদ! বেতন পান কত ?

আরও সংবাদ পড়ুন।

ঘুষ খেয়ে চাকুরী হারালেন – এএসপি ইয়াকুব

আরও সংবাদ পড়ুন।

পরীমনির সাথে অবৈধ সম্পর্ক্য-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহার অবৈধ সম্পদের পাহাড়

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দেশ ছেড়েছেন

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের সাবেক(আইজিপি)বেনজীর আহমেদ পালিয়েছেন! দেশ ছাড়ার আগে কি কি বিক্রি করলেন

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

আরও সংবাদ পড়ুন।

অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম এর সম্পদের পাহাড়! দুদকে অভিযোগ

আরও সংবাদ পড়ুন।

সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ – দুদকে

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশের স্বর্ণ ছিনতাই – এসআই সহ ৩ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

আরও সংবাদ পড়ুন।

পুলিশ সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top