মোঃ নওরোজ আলম নেয়ামত চৌধুরী পিতাঃ মৃত এনায়েত উল্লাহ মিঞা পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের বোরহানউদ্দিন থানা, জেলা ভোলা। তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নং ০৯২২১০৬০৭৯৮৪৭। তিনি কুতুবা মৌজায় জেল ৪১ এস ১০৯০ খতিয়ানের দাগ নং ১৮৮৫ ও ১৯৫৮জমির পরিমান. ০৮ শতক জমির মালিক ছিলেন।
কিন্তু তিনি বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে শামিমা ইয়াসমিন স্বামীঃ আহসান হাবিবকে ৩৪৭৬ নং দলিলে নিঃস্বত্ববান হন এবং ১৯৮৮ সালে ভিপি জমি ৭.৫০ পয়েন্ট ভিপি জমি ডিসিআর মুলে ভোগদখল করেন।
দীর্ঘ দিন ভিপি জমি ভোগ দখলে রাখার পর হারুন অর রশীদ এর কাছে ভিপি জমি হস্তান্তর করেন। যা ভিপি কেস নং ৩৩/৭৯-৮০। যা রশিদ নং ০২০৫৪৫৪ তাং ০৪/০৩/২০১৫।
ডিসিআর এর ভোগ দখলকারী হারুন অর রশীদ, আহসান হাবিব পিতাঃ মৃত জহুরুল হক মাষ্টারকে বিগত ১৬/১০/২০১৫ তারিখে তার ডিসিআর কৃত ভিপি জমি না দাবী নামা দিয়েছেন। সেই না দাবী নামায় বিগত ভোগদখল কারী মোঃ নওরোজ আলম নেয়ামত চৌধুরী পিতাঃ মৃত এনায়েত উল্লাহ মিঞা ১নং সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আহসান হাবিব পিতাঃ মৃত জহুরুল হক মাষ্টার বোরহানউদ্দিন সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর ডিসিআর পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিষ্পত্তি না করে, বোরহানউদ্দিন সহকারী কমিশনার ভূমি বিগত ১৫/০১/২০২৪ তাং বাড়ী ভারা রশিদ দিয়েছেন যা নং ০৩০৩৩২৬ বরং সেই ঘরের হোল্ডিং নাম্বার উল্লেখ নাই।
এখানে প্রশ্ন হচ্ছে! বাড়ি ভাড়া আদায়ের রশিদে অবশ্যই হোল্ডিং নাম্বার উল্লেখ করতে হয়। তা না হলে তিনি কোন হোল্ডিং নাম্বারের বাড়ি ভাড়া আদায় করলে? প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানটি বাগান হিসেবে বিদ্যমান আছে এস এ খতিয়ানে। কিন্তু দোকান ও ভিটা উল্লেখ করা থাকলেও ইতোপূর্বে ওই জমিতে ঘর উত্তোলনের পূর্ব অনুমতি দেয়া হয়নি। তা হলে প্রমান করে না যে ভূমিটি রেকোডিও৷
বোরহানউদ্দিন সহকারী কমিশনার ভূমি কিভাবে মোঃ নওরোজ আলম নেয়ামত চৌধুরীকে এক বছরের জন্য লিজ দিলেন এবং কোন হোল্ডিং নাম্বার উল্লেখ না করেই তিনি লিজ মানি গ্রহন করলেন? তাহলে কি প্রমান করে না! বোরহানউদ্দিন সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুল হাসান ও অসৎ পন্থা গ্রহন করলেন?
এদিকে, শামিমা ইয়াসমিন স্বামীঃ আহসান হাবিব দলিল প্রাপ্ত হয়ে সেই জমিতে দশ সার্টার বিশিষ্ট একটি দোকান ঘরের পৌরসভার হোল্ডিং এর নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন। পৌরসভায় সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোঃ নওরোজ আলম নেয়ামত চৌধুরী পিতাঃ মৃত এনায়েত উল্লাহ মিঞা শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন এবং হোল্ডিং এর নাম পরিবর্তনে আপত্তি নেই বলে আবেদন নামায় সাক্ষর করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ১৩/১০/২০১৫ ইং তারিখে তার নামের পরিবর্তে দোকান ঘরের হোল্ডিং নাম্বার ২৮১ শামিমা ইয়াসমিন স্বামীঃ আহসান হাবিব এর নামে নাম জারি করা হয়।
শামিমা ইয়াসমিন স্বামীঃ আহসান হাবিব সেই থেকে আজ অবধি পৌরকর আদায় করে আসছেন।
ঘটনাটি এক পর্যায়ে আইনজীবি মোস্তাফিজ ১৫/০২/২০২৪ ইং তারিখে বোরহানউদ্দিন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি মোকদ্দমা করেন, যা নং ২১/ ২০২৪৷ বোরহানউদ্দিন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত যেখানে স্থিতি অবস্থার আদেশ দিয়েছেন।
ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত, কিন্তু অতি উৎসাহী স্থানীয় আইনজীবি খ্যাত মোস্তাফিজ, যিনি মোঃ নওরোজ আলম নেয়ামত চৌধুরী’র আপন ভগ্নীপতি।
তিনি গত ১৯/০২/২০২৪ সকালে ৯টার দিকে কতিপয় সংঘবদ্ধ বাহিনী নিয়ে শামিমা ইয়াসমিন স্বামীঃ আহসান হাবিব এর দোকান ঘর জবরদখল করার জন্য আসে কিন্তু শামিমা ইয়াসমিনের স্বামীঃ আহসান হাবিব বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশের বাঁধার মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন, অতি উৎসাহী স্থানীয় আইনজীবি খ্যাত মোস্তাফিজ। আইনজীবি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আইনজীবী হয়েও তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন! তাহলে আইনের খুটিজাল সাধারণ জনগনের জন্য ? আইনজীবি মোস্তাফিজের জন্য নয় ?
আইনজীবি মোস্তাফিজের আইনের মারপ্যাচে অনেক মানুষ অপরাধ না করেও জেল খেটেছেন! অনেকে নিজের ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। নিজে লাভবান হবার জন্য অপরাধীর সাথে বন্ধুত্ব করে আইনের চোখে ধূলা দিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ করেছেন।
আইনজীবি মোস্তাফিজ বলে বেড়ান, কোর্ট আমার কথায় উঠে বসে। আমি কোর্ট চালাই। তোদের সবাইকে মামলা দিয়া কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় গুরাব।
এই ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই তিনি ২০/০২/২০২৪ তারিখে বোরহানউদ্দিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, ৩ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা করেন। যা নং ৩৮/ ২০২৪।
২০২৩ সনের নতুন ভূমি অপরাধ প্রকিরোধ ও প্রতিকার আইনের ৪ (ক) (চ) ১৬/১১ ধারা সংযুক্ত করেন। যেখানে দ্বিতীয় আসামী নাবালক। এতেই বোজা যায় আইনজীবি মোস্তাফিজ নিজের স্বার্থের জন্য কতটা হীনকাজ করেন।
বোরহানউদ্দিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তদন্তের জন্য মামলাটি pbi কে নির্দেশ দিয়েছেন।
আহসান হাবিব অভিযোগ করেন, বিগত ২১/০২/২০২৪ বিকালে মোস্তাফিজ ৮/১০ জনের ও অধিক লোকজন নিয়ে আমার দোকানে এসে ১২ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে। নানা রকম হুমকি দামকি দিতে থাকে। আমি প্রানের ভয়ে ১ লক্ষটাকা দিয়েছি। বাকিটাকা না দিলে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে তিনি চলে যান।
আহসান হাবিব আরও বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি বোরহানউদ্দিন থানাকে অবহিত করলে, থানা আমাকে আদালতে যাবার পরামর্শ দেয়।
আমি ২২/০২/২০২৪ তাং একটি চাদাবাজির মামলা করি যা নং ৪১/২০২৪ সেই মামলার বিষয়ে মাননীয় আদালত pbi কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরও তারা লোকমুখে নানা রকম হুমকি দামকি দিয়ে যাচ্ছে।
আহসান হাবিব
পিতাঃ মৃত জহুরুল হক মাষ্টার
পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড,
বোরহানউদ্দিন থানা; জেলা ভোলা।