৮টি ধারা বাতিল ও ৪টি ধারা সংশোধনের দাবি জানাল বিএফইউজে

Picsart_23-08-21_09-06-47-782.jpg

প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন

৮টি ধারা বাতিল ও ৪টি ধারা সংশোধনের দাবি জানাল বিএফইউজে

বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের আটটি ধারা বাতিল ও চারটি ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। এসব ধারা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএফইউজে বলেছে, ফৌজদারি আইনে মানহানিসহ যেসব অপরাধ ও সাজা নিশ্চিত করা আছে, সেসব অপরাধকে আলাদা করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করে অধিকতর শাস্তির প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য। প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে বিদ্যমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।

প্রস্তাবিত আইনের খসড়া পর্যালোচনা করে বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন তাঁদের প্রস্তাব সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগে পাঠিয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএফইউজে বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪০ ও ৪২ ধারা বাতিল এবং ২১, ৪৩, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ধারা সংশোধন করে সংবাদকর্মীদের সুরক্ষা দিতে হবে।

বিএফইউজে বলেছে, প্রস্তাবিত আইনের ২১ ধারায় বর্ণিত বিষয়গুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষেত্রেও অপপ্রয়োগ হয়েছে ব্যাপকভাবে। সংবাদমাধ্যম ছাড়াও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এ ধারার যথেচ্ছ অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। আইনের ২২ ধারার অধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যমের কনটেন্টকে (আধেয়) অপরাধ হিসেবে বিবেচনার সুযোগ থাকবে।

বিএফইউজে বলেছে, প্রস্তাবিত আইনের ২৩ ও ২৪ নম্বর ধারাও ২২ ধারার মতো। এ ছাড়া আইনের ২৫ নম্বর ধারাকে বেশি বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করে সংগঠনটি বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারাটি সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকবে। কারণ, কে কোন সংবাদে ‘বিরক্ত’, ‘অপমান’, ‘অপদস্থ’ বা ‘হেয়প্রতিপন্ন’ হবেন, তা নিরূপণ করা সাংবাদিকদের পক্ষে কঠিন হবে। আইনের ২৬ নম্বর ধারাটিও সাংবাদিকদের জন্য হুমকি হতে পারে।

প্রস্তাবিত আইনের ২৮ নম্বর ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিজ্ঞতায় অপপ্রয়োগ হতে দেখা গেছে বলে উল্লেখ করেছে বিএফইউজে। আইনের ২৯ নম্বর ধারাটিও সংবাদকর্মী ও সংবাদমাধ্যমের জন্য খড়্গ হয়ে দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি ফৌজদারি আইনেও একই অপরাধের বিচারে শাস্তির বিধান থাকায় সাইবার নিরাপত্তার সঙ্গে মানহানির এ ধারা যুক্ত করা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে বিএফইউজে।

প্রস্তাবিত আইনের ৩১ নম্বর ধারাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনুরূপ বহাল রাখায় সাংবাদিকেরা এর ভুক্তভোগী হবেন বলে মনে করে বিএফইউজে।

সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের বিধানের কারণে দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম অসহায় হয়ে পড়ে। ব্যাপক ভাবে সমালোচিত অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩২ ধারা ইতিমধ্যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে অপব্যবহারের নজির রয়েছে।

বিএফইউজে প্রস্তাবিত আইনের ৪০, ৪২, ৪৩ ও ৪৫ নম্বর ধারার সমালোচনা করে বলেছে, পুলিশকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টির সুযোগ থাকবে। অপরাধ সংঘটনের আগেই প্রথমেই সন্দেহ থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতে পারবে এবং তল্লাশি ও জব্দের নামে সব ধরনের নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ নিতে পারবে।

সাইবার নিরাপত্তা আইনও মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে মনে করে বিএফইউজে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

আরও সংবাদ পড়ুন।

মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২ – শেষ ২০-এ বাংলাদেশ

আরও সংবাদ পড়ুন।

গণমাধ্যমের কারণে সকল প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয় – বিচারক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top