দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার – বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম

bnp.jpg

ইচ্ছা করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: ফখরুল

রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার বলছে আমরা বিরোধী দলকে কোনো বাধা দেই না। এটা সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে গোটা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘নারী নেতৃত্ব অগ্রগতি বিষয়ক’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার রাতে মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস ধ্বংস করেছে, বিরোধী দলকে যারা দোষারোপ করতে চায় তারা বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে এসব করাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছে। সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। তারা একের পর এক আইন করছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য আছে। সে বৈশিষ্ট্য হলো তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা একাই থাকবে। এজন্যই তারা সমস্ত দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিলো একটিমাত্র দল থাকবে তা হলো বাকশাল।

বিএনপি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, যেদিন থেকে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তখন থেকে যত নির্বাচন করেছে সব ভাওতাবাজি। কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালে তো কোনো ভোটই হয়নি। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হিরা এবং এবিএম মোশাররফ হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি সহপ্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, বিএনপি সহত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, ডা. মাজহরুল হক, নুরুল ইসলাম জাহিদ, আরাফাত বিল্লাহ ও হাসান আল আরিফ প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চিফ অব পার্টি (ডিআই) ডেনা এল ওলস।

আরও সংবাদ পড়ুন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

আরও সংবাদ পড়ুন।

‘সেইফ এক্সিট’ চাইলে তত্ত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা দিন – সরকারকে ফখরুল

আরও সংবাদ পড়ুন।

নদনদী ধ্বংস হওয়ার জন্য সরকার দায়ী – মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top