বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নে হারুন পরকীয়া অবস্থায় আটক; অবৈধ লেনদেন মিললো মুক্তি
অপরাধ প্রতিবেদকঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো.হারুনকে তার ফার্মেসীতে দুপুরের দিকে পরকীয়া অবস্থায় স্হানীয়রা আটক করেন। ঘটনাস্থলে কুতুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও উপস্থিত হোন।
গত( ৮ জুন২০২৩) দুপুরে কুতুবা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চৌরাস্তায় তার নিজ ফার্মেসীতে একজন মেয়ে দেখতে পায়,স্হানীয় একজন পরে সেই লোক আরও লোক নিয়ে হারুনের দোকানের সামনে এলে দেখে দোকানের শাটার বন্ধ, ডাকা ডাকি করলে একপর্যায়ে হারুন ভিতর থেকে শাটার খুলে বেরিয়ে আসে, তখন মহিলাটি তার ফার্মেসীর ভিতরের পেছনের রুমের চোকিতে বসা।
এলাকার লোকজন কানাঘুষা হলে, তাদের মধ্যে একজন বিষয়টি কুতুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানালে,১৫-২০ মিনিটের মধ্যে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে আসেন। সবার সামনে মেয়েটি ঐসময় এখানে কেন জিজ্ঞেস করলে, হারুন বলে ভুলে তার প্রেসক্রিপশন রেখে গেছে, নেওয়ার জন্য আসে,ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে করে, চেয়ারম্যান থানায় ফোন করেন, বোরহানউদ্দিন থানা থেকে পুলিশ এসে দুইজনকে থানায় নিয়ে যান।
চৌরাস্তায় নাম না বলা শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী বলেন – এই মেয়েটি ডিভোর্স প্রাপ্ত এক-দুই দিন পর পর হারুনের ফার্মেসীতে আসে, তালাবদ্ধ অবস্থায় আটক হয়েছে। শুনেছি তার সাথে মহিলার অনৈতিক সম্পর্ক আছে। যতোটুকু জানি মেয়েটির বাসা জয়ার মধ্যে।
হারুনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতাদের নাম উল্লেখ করেন। সেই সব নেতারা আপনাকে পরোকিয়ায় জড়িত হতে বলছে, এমন প্রশ্ন রেগে যান হারুন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে অনেক কিছু করার হুমকি দেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন করলে হারুনের কাছের একজন বলেন, থানায় টাকা দিয়ে তারপর ছাড়া পাইছে মহিলা আর হারুন। থানার সিটি টিভিতে ফুটেজ খুঁজলে অবশ্যই পাওয়া যাবে।
তবে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার এক বিএনপি’র নেতা বলেন, হারুনের বিষয়টি শুনেছি, এর আগেও সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে যা বিএনপি’র নেতাদের লজ্জায় পড়তে হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তর ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছে, থানায় টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে আসছে। কিন্তু এর সঠিক বিচার হচ্ছে না।