সচেতনতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Picsart_23-06-10_15-18-05-785.jpg

সচেতনতাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারে – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

সাগর চৌধুরীঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ। এর মধ্যে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন পূর্ব সর্তকতা জারির প্রযুক্তি এখনো আমাদের হাতে নেই। ফলে সচেতনতা ও সঠিক পরিকল্পনাই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার মূল উপায়।

তিনি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সিনেট হলে “১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতীয় উপমহাদেশের মহাভূমিকম্প স্মরণে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরসনে প্রস্তুতি এবং সতর্কতা” বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান এবং এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ.এস.এম মাকসুদ কামাল।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ভূমিকম্প সহনীয় পরিকল্পিত নগরায়ন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, শহরে আমাদের উন্মুক্ত ও সবুজ স্থান লাগবে, জলাধর ও স্কুল-কলেজ লাগবে। এ সময় তিনি ২০২২ সালের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা তৈরীর বাধ্যবাধকতা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে আমাদেরকে এ নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এর ফলে শহরের উপর চাপ কমবে এবং মানুষ নিজের এলাকায় থাকতে উৎসাহিত হবেন।

বিদ্যুতের সাম্প্রতিক লোডশেডিং বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং শিল্পায়নের ফলে বাসা বাড়ি থেকে কলকারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা যেমন বেড়েছে তেমনি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমাদেরকে সাময়িক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অতীতের অনেক সমস্যার মত এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিদ্যুৎ সমস্যা কাটিয়ে উঠবো বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৭২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হবে এবং দেড় লক্ষের উপর মানুষ নিহত হবে। সুতরাং ভূমিকম্পের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার বিকল্প নেই এবং ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ে সবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ড. মো. এনামুর রহমান আরো বলেন, ২০৭১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের। এ সময় তিনি যেসব স্থাপনা ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হয়নি সেগুলো সকলকে সাথে নিয়ে নির্ধারিত মানদন্ড যথাযথভাবে অনুসরণ করে নতুন ভাবে তৈরি করতে হবে বলে জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এস.এম মাকসুদ কামাল ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ সালে তুরস্ক-সিরিয়াতে অনুষ্ঠিত বড় ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ উপস্থাপন করে বলেন, ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশও ভূমিকম্প প্রবণ ভৌগলিক সীমারেখায় অবস্থিত তবে এই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্প দীর্ঘ বিরতি নিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সেমিনারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটি এবং ক্লাইমেট ও ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে “ছোট ছোট ভূমিকম্পের ঘটনা বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়ায়” শীর্ষক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করে আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর ছাত্র ছাত্রীরা।

আরও সংবাদ পড়ুন।

উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

আরও সংবাদ পড়ুন।

বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য পরিবেশ শৃঙ্খলা জরুরী – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

আরও সংবাদ পড়ুন।

শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top