নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে হতাশ বিএনপি – মির্জা ফখরুল

bnp.jpg

নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে হতাশ বিএনপি – মির্জা ফখরুল

বিশেষ প্রতিবেদকঃ নতুন রাষ্ট্রপতিকে মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে বিএনপি কিছুটা হতাশ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে নতুন রাষ্ট্রপতি কতটা করবেন, সে বিষয়েও বিএনপির সংশয় রয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল২০২৩) দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপতির অবদান রাখার সুযোগ আছে। বর্তমানে যে রাষ্ট্রপতি শপথ নিয়েছেন জনগণের কাছে তার নামটা একেবারে পরিচিত ছিল না। বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে মানুষের মাঝে একটি সন্দিহান রয়েছে। তিনি কী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন?

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি চাইতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার গঠন করবে, তাহলে রাষ্ট্রপতির নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে পারতো। যাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে, হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিতভাবেই তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের পদে এসেছেন।

তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সরকারপ্রধানের খুবই আস্থাভাজন। সরকার আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না সরকার। তবে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। সেখানে সরকার এককভাবে নির্বাচন করতে চায়, সেই প্রস্তুতিও তারা নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক, যদিও তার নির্বাহী ক্ষমতা তেমন নেই। প্রধানমন্ত্রী ও বিচারপতি নিয়োগই তার প্রধান কাজ। সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত থাকে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে তার গুরুত্ব কম নয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা খাটো করে দেখার কিছু নেই।

রাষ্ট্রপতির ভূমিকা দেশের মানুষের কাছে ও রাজনীতিতে মোটেও হালকা নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে পরিস্থিতি চরমভাবে ঘণীভূত হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রত্যাশা এবার অন্যরকম। যদিও তিনি (নতুন রাষ্ট্রপতি) কি বলবেন, করবেন তা জানা নেই। তিনি দলীয় হবেন কিনা, দলের উদ্দেশ্য পূরণ করবে কিনা, নাকি দেশের জন্য কাজ করবেন সেটা তার ওপর নির্ভর করবে।

ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বা নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে হবে না। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু আমরা নই, বহির্বিশ্ব যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারাও বলছে- বাংলাদেশের একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন খুব জরুরি।

বাংলাদেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য ভবিষ্যতের অগ্রগতি উন্নয়ন সবকিছুর জন্য। কিন্তু এ বিষয়ে তারা আগ্রহী নয়। আবারও আগের মতো ক্ষমতায় থাকার জন্য এককভাবে নির্বাচন করতে চায়। এজন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

আরও সংবাদ পড়ুন।

দুর্নীতি দমন কমিশন যেন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে – ফখরুল

আরও সংবাদ পড়ুন।

বিএনপি’র একযোগে ৬৫০ স্থানে অবস্থান কর্মসূচি আজ

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজধানীসহ সব মহানগরে বিএনপির সমাবেশ আজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top