মুন্সীগঞ্জ পিটিআইতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উদযাপন।

Picsart_23-04-14_23-07-21-156.jpg

মুন্সীগঞ্জ পিটিআইতে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উদযাপন।

সভাপতি জনাব মো: কুব্বত আলী খান।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিটিআই এর সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা শিক্ষার্থীরা, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।

অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সামিতা ইয়াসমিন ও জনাব রাবেয়া। যারা অনুষ্ঠানে গান গেয়ে পুরো অনুষ্ঠান জমিয়ে তুলেছেন। অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত গেয়ে। ছোট সোনামনিদের হারমোনিয়ামে সহযোগিতা করেছেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মমতাজ শাহানা ফেরদৌস । যিনি শাহানা সিরাজী নামে খ্যাত।

অনুষ্ঠানে বৈখাখী গীতি “এসো হে বৈশাখ এসো এসো”সহ দেশের গান, নৃত্য, কবিতা ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা,প্রযোজনা ও উপস্থাপন করেন মমতাজ শাহানা ফেরদৌস ( শাহানা সিরাজী)

আলোচনায় জনাব মো: কুব্বত আলী খান বলেন,” আমরা যদি শিক্ষক ও অভিভাবক জাতীয় দিবসগুলোকে যথাযথ ভাব গাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপন না করি তাহলে আগামী প্রজন্ম ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা আমাদের স্বকীয়তা হারাবো।

তিনি সবাইকে নিজস্ব সংস্কৃতি ও কালচার চর্চা করার উদাত্ত আহবান জানান।

সঞ্চালক সঞ্চালনার সময় নিম্নলিখিত বার্তাসমূহ সবার কাছে পৌঁছে দেন।

প্রতিটি বিশেষ দিন বিশেষ ভাবে উদযাপিত হলে পরিবার,সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় সম্পর্কগুলোর মাঝে হৃদ্যতা বাড়ে।
চলমান সময়ে আমরা ব্যস্ত।কে কার খোঁজ রাখে বা রাখতে পারি। কিন্তু বিশেষ দিনকে ঘিরে সবাই একটা সিডিউল তৈরি করে। এতে সম্পর্কের মান তীব্র হয়।

পহেলা বৈশাখ নিতান্তই বাঙালির। এ দিনের সাথে বাঙালির অর্থনৈতিক সম্পর্ক জড়িত।

রাজা-বাদশাহ-জমিদারেরা খাজনা আদায় করতো। একবার ভাবুন তো ঘরে কানা কড়ি নেই কিন্তু খাজনা তুলতে দুয়ারে ঢাক-ঢোল বাজছে,কেমন অনুভূতি হচ্ছে।।এ জন্য সম্রাট আকবর কৃষকদের যাতে অসুবিধা না হয় এমন সময় থেকে খাজনা আদায়ের জন্য এই বাংলা পঞ্জিকা তৈরি করেন। এবং রাজা -প্রজার মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশ চালু করেন।

সম্রাট আকবর জনগণকে শান্তিতে রাখার জন্য, সব ধর্মের মানুষদের সমান চোখে দেখার জন্য কত কী পদক্ষেপই না নিয়েছেন, যারা ইতিহাসের শিক্ষার্থী ছিলেন তারা এ সব জানেন।

সকল জাতিরই নিজস্ব ক্যালেন্ডার আছে। আরব জাতির সাল হিজরি। মহানবী যে বার মদীনায় হিজরত করলেন সেবার থেকে হিজরি সাল গণনা করা হয়।

আবার যীশুর জন্মসাল থেকে খ্রিস্টাব্দ গণনা করা হয়। ইংরেজ জাতির আধিপত্যের জন্য সারা বিশ্ব তাদের সালকে গ্রহণ করেছে। ব্যবসা বাণিজ্য, অফিস-আদালত সব জায়গাতেই খ্রিস্টাব্দ চলে।

তার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের বাংলা সালকে স্বাগত জানাবো না।

মহানবীর সময় বাংলা সাল শুরুই হয়নি কাজেই এ দিন উদযাপন নিয়ে কোন হাদীস থাকতে পারে না। অসম্ভব।

অশুভ সব আচরণ, মিথ্যা, কুৎসা, নিন্দা, চুরি, বাটপারি, জুয়া, মদ,নারীবাজি,পুরুষবাজি, অসুন্দর সব কিছুই যে কোন স্থানে, যে কোন অবস্থাতেই বর্জনীয়।

যা সুন্দর, যার ভেতর দিয়ে অন্তত নির্মল আনন্দ লাভ করা যায়, যার মাধ্যমে একে অপরের খোঁজ করে, এক সাথে বসে কিছু স্মৃতিচারণ করে, ভালো-মন্দ ভাগাভাগি করে খায় তাকেই আমরা স্বাগত জানাই গ্রহণ করি। বাকি সব দূর হয়ে যাক যাক….

বৈশাখকে স্বাগত জানাতে গিয়ে কেউ যদি সীমাহীন অন্যায় করে তার দায় সেই ব্যক্তির বৈশাখের নয়।

আজ পহেলা বৈশাখ,মুন্সীগঞ্জ পিটি আই এর প্রাণ, সুপারিন্টেন্ডেন্ট জনাব মুহাম্মদ কুব্বত আলী খান স্যার এর সভাপতিত্বে নানান আচার অনুষ্ঠান সম্পাদিত হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় যথারীতি আমি। আমাদের দুজন শিক্ষক শিক্ষার্থী অতিথি হয়ে এসেছেন। জনাব সামিতা ইয়াসিম এবং জনাব রাবেয়া। তাঁদেরকে পেয়ে এতো ভালো লাগলো যে! তাঁরা অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছেন।

আজ দিনে শুক্রবার মাহে রমজান প্রচন্ড গরম
তবুও যতটুকু হয়েছে তাই বা মন্দ কী!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top