জালিয়াতি ও মিথ্যাচার- বাফুফে সাধারণ সম্পাদককে ২ বছর নিষিদ্ধ করলো ফিফা
ক্রিড়া প্রতিবেদকঃ আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তাকে কেন এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে নাইমকে, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে ফিফা।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বাফুফেতে দেওয়া ফিফার টাকার হিসাবে মিথ্যা তথ্য-নথি ব্যবহার করেছেন আবু নাইম। সেকারণে তাকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শাস্তির ঘোষণা যে হঠাৎই এসেছে, ব্যাপারটা তেমন নয়।
তার অনিয়মের জন্য কিছুদিন আগেই ফিফা সদর দপ্তর জুরিখে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বাফুফের এই কর্তাকে। তারপর তদন্ত শেষে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে ফিফা।
ইতিমধ্যে শাস্তির বিষয়টি আবু নাঈমকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে ফিফা।
তার বিরুদ্ধে একই সঙ্গে এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বাফুফে ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (এএফসি)।
ফিফার ইন্ডিপেন্ডেন্ট এথিকস কমিটির বিচারিক চেম্বারের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ছে, তিনটি ধারা ভেঙ্গেছেন আবু নাইম। এই তিনটি ধারা হলো- ধারা ১৫ (সাধারণ কর্তব্য), ধারা ১৩ (আনুগত্যের দায়িত্ব) ও ধারা ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার)।
আবু নাইম ২০০৫ সালে বাফুফেতে ম্যানেজার কম্পিটিশন্স হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আল মুসাব্বির সাদী মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৩ সালে দুই বছরের জন্য হন সাধারণ সম্পাদক। এরপর ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ে তার।
মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে নারী দলকে না পাঠানোয় এমনিতেই তোপের মুখে বাফুফে। এরই প্রেক্ষিতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বক্তব্যে কঠিন সময় পার করছে দেশের ফুটবল। ঠিক সেই মুহূর্তে ফিফার এই সিদ্ধান্তে আরও বড় ধাক্কা লাগলো বাংলাদেশের ফুটবলে।
আরও সংবাদ পড়ুন।
সরকার স্মার্ট ক্রীড়াবিদ তৈরিতে কাজ করছে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আরও সংবাদ পড়ুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – জাতি গঠনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চা অপরিহার্য