হাইকোর্ট – রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চান

Picsart_22-12-07_00-26-30-306.jpg

হাইকোর্ট – রাজউক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চান

বিশেষ প্রতিবেদকঃ হাইকোর্ট রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।


আগামী দুই মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে এনে আজ সোমবার (২৭মার্চ২০২৩) বিচারপতি মো. সেলিম ও মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। 

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের ‘রাতারাতি ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা, কোটিপতি বানানোর কারখানা রাজউক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। রিপোর্টটি সোমবার আদালতের নজরে আনেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা।  

পরে শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমি আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত সেটি শুনে আগামী দুই মাসের মধ্যে দুদক বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে কোন রুল জারি হয়েছে কিনা, সেটি আদেশের কপি হাতে পেলে জানা যাবে বলে জানান তিনি।  

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা বলেন, গত ১৯ মার্চ গণমাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে রাজউকের কতিপয় কর্মচারি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিবেদনে ওঠে আসে। বিষয়টি সোমবার নজরে আনলে আদালত তদন্তের জন্য স্বপ্রণোদিত আদেশ দেন।   


গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউক যেন কোটিপতি বানানোর এক কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানে চাকরি করলে রাতারাতি ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। 

বড় পদ নয়, একেবারে কেরানি পদে চাকরি করেও কোটিপতি বনে গেছেন অনেকে। স্বল্প বেতনের চাকরি করে যাদের সাধারণ জীবনযাপনের কথা, তাদের কেউ কেউ রীতিমতো রাজা-বাদশাহ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। খোদ রাজধানীতে তাদের একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। আছে নামিদামি ব্র্যান্ডের একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। 

তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, তাদের অনেকেই অবৈধ অর্থের জোরে এখন সমাজপতিও বটে। হতে চান এমপি-মন্ত্রীও। তাই চাকরির পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সক্রিয় তাদের কয়েকজন। গণমাধ্যমে দীর্ঘ অনুসন্ধানে রাজউকের এসব সৌভাগ্যবান কর্মচারীর অঢেল অর্থবিত্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।


রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা

লাগামহীন অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি এবং কোটিপতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা ১২ মার্চ তার কার্যালয়ে গণমাধ্যমে বলেন, দুর্নীতিবাজ হিসাবে পরিচিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে যাদের নাম এসেছে, তাদের তদন্তের মুখে পড়তে হবে। 

এছাড়া দুর্নীতিবাজদের অনেকে দুদকের অনুসন্ধানের আওতায় আছেন। ফলে অবৈধ পথে যারা অঢেল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন, তারা স্বস্তিতে নেই। তাদের অনেকেই আর বেশি দিন রাজউকে টিকে থাকতে পারবেন না।

 
আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজউক কি কোটিপতি বানানোর কারখানা! অবৈধ কোটিপতি কারা!

আরও সংবাদ পড়ুন।

আনিসুর রহমান মিয়া রাজউক চেয়ারম্যানের মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ল

আরও সংবাদ পড়ুন।

রাজধানীর ২২৯ সরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, দুই মাসের মধ্যে ভাঙতে হবে ৪২টি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top