দিনের অফিস রাতে করেন; বোরহানউদ্দিন সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদার

Picsart_22-12-29_16-49-56-094.jpg

দিনের অফিস রাতে করেন; বোরহানউদ্দিন সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদার

সাগর চৌধুরীঃ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাবরেজিস্টার দিনের অফিস রাতে করছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর রাত ১১) টায় সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদার এজলাসে বসে দলিল করেন। এই প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, ছবি ও ভিডিও করতে বিশেষ অনুরোধ করেন। গোপন সূত্রে তথ্য ছিল, রাতের বেলা দলিল করার নামে সাধারাণ সেবার নামে বেশি অর্থ আদায়ের জন্যই তিনি দিনের অফিস রাতে করছেন।

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে শীতের তিব্রতা বেশী; কিন্তু বৃদ্ধ মানুষের পক্ষে এতরাত পর্যন্ত বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাব-রেজিস্টারের অফিসে দলিল নিবন্ধন করা দুরূহ। দলিলের সিরিয়াল যখন সামনে এলো তখন বৃদ্ধ সেবা ভূগী সাব- রেজিস্টারের সামনে দাড়িয়ে শীতে কাঁপছেন। রাত তখন ১১;১৫ মিনিট। একজন বৃদ্ধা সেবা ভূগী’র জন্য বিষয়টি কতটা মানবিক? রাষ্ট্রের কর্মচারীদের সেবা দেওয়া চলন্ত উদাহরণ।


এই প্রতিবেদককে দেখেই,বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাব-রেজিস্টার মামুন শিকদার ছবি তুলতে নিষেধ করেন এবং হাত দিয়ে নিজের চেহারা ঢেকে দেন।

এর আগেও সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদার দরজা লাগিয়ে মধ্যরাতে অফিস করেছেন। এমন তথ্য ও অভিযোগ স্থানীয় সেবা ভোগীদের কাছে আছে।

সরকারের পরিবিধানে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিস। কিন্তু এই শীতে রাতে সরকারের বিধান কতটুকু মেনে চলছেন সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদার। কেন তিনি মধ্য রাতে সরকারের সেবার নামে বৃদ্ধা ও জনসাধারণকে বাধ্য করছেন রাতে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে। কেন তিনি দলিল গৃহীতাকে বাধ্য করছেন শুধু মাত্র সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদার ও তার দালাল সিন্ডিকেটের অনৈতিক অর্থের যোগান দিতেই মধ্য রাত পর্যন্ত অফিস খোলা রেখে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করতে।

বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উদ্যাগ ম্নান হচ্ছে সাব – রেজিস্টার মামুন শিকদারের দূর্নীতি ও আনিয়মের কারণে। বর্তমান সরকার জ্বালানি সাশ্রয় করতে অফিস টাইম একঘন্টা কমিয়ে এনেছে, অফিসের দরজা জানালা খোলা রেখে সূর্যের আলো ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী। কিন্তু বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলাফলে কালিমা লেপন করে মধ্যরাতে অফিস করার নামে সাধারাণ সেবা ভোগীদের কাছ থেকে জোকের মত চুষে নিচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ টাকা।


মধ্যরাতে অফিস করছেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসের প্রধান সহকারী।

মধ্য রাতে অফিস করার বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর রাত ৮ – ৮;৩০ টায়) বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসে গেলে শত শত মানুষের ভীর দেখা যায়। দরজার গেটে দালাল সিন্ডিকেটের লোকজন কে আসছে আর কে যাচ্ছে এর এই খবর ভেতরে জানিয়ে দিচ্ছিন – রেজিস্টার মামুন শিকদারের অবৈধ অর্থ লিপ্সু দালাল চক্র দরজা বন্ধ করে পথরোধ করে দাড়ায়।

এর পর এজলাস রুমে ঢোকার আগে প্রধান সহকারীর টেবিলে আবার প্রশ্নে জর্জরিত! কেন আসছেন? আপনার চা খরচ পাঠিয়ে দিচ্ছি নিচে গিয়ে দাঁড়ান। এতরাতে দলিল করছেন এমন প্রশ্নে? সাবরেজিস্টারের সাথে দেখা করার অনুমতি পাওয়া গেল।

এই প্রতিবেদকে দেখেই বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার মামুন শিকদার বলেন, ছবি তুলবেন না। আসছেন ভেতরে বসেন চা খান।

এতরাতে দলিল করছেন? প্রশ্ন করতেই তিনি এজলাস থেকে নেমে তার খাস কামরায় ডেকে নিলেন। তার সহকারীকে ডেকে কফি জন্য বললেন। তারপর অনুরোধ করে বলেন, আপনি এসছেন ওরা (গেটের পাহারাদার) বলছে। আসার দরকার ছিল কি আপনার চা খরচ পাঠিয়ে দিতাম।

এতরাতে (রাত তখন সারে ৯টা) এজলাসে বসে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করছেন? এমন প্রশ্নে হাত এগিয়ে বললেন, বুজলেন না। বছর শেষ তাই সবাই বললো; তাই রাতেই কাজ করছি। ফের আবার হাত ধরে অনুরোধ করলেন, প্লিজ নিউজ করবেন না। কফি খেয়ে নিন বলে, সহকারীর দেওয়া কফি’র কাপ এগিয়ে দিলেন। যে ছবি ও ভিডিও করছেন, প্লিজ ডিলেট করে দিন।

এরই মধ্যে দু’জন স্থানীয় দালাল ডুকলেন সাব- রেজিস্টার মামুন শিকদারের রুমে। দু’জনের একজন জানতে চাইলো, কেন ডুকছোস এই অফিসে? তুই কিসের সাংবাদিক? তোর কি কাজ এখানে? জসিম চেয়ারম্যান ছেলে তোরে মারছে, ভুলে গেছত! এবার খবর আছে তোর!

সাব- রেজিস্টার মামুন শিকদারের খাস কামরায় এতক্ষণ শান্ত পরিবেশ থাকলেও দুই দালালের অসৌজন্যমূলক আচরণে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাব-রেজিস্টার মামুন বলেন, আমার অফিসের ভেতরে না।

একথার পরই তারা সাব- রেজিস্টার মামুন শিকদারের খাস কামরা থেকে বের হয়ে যান। এরপর সাবরেজিস্টার বলেন, কোন সমস্যা নাই। আপনি এবার আসুন।

সাবরেজিস্টারের খাম কামরা থেকে বের হয়ে, শত শত মানুষের ভীর ঠেলে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতেই, রাতের অন্ধকারে ঝাপটে ধরে, প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ফোন কেরে নেয়, সেই চিন্হিত দালাল সিন্ডিকেটের লোক, অন্ধকারে তাদের চেহারা চিনতে না পারলেও, তাদের একজন ফোনে বলতে শোনে এই প্রতিবেদক, স্যার মোবাইল লইছি! এরপর পাশের একজনকে বলতে শোনে, আরে ভিডিও আর ছবি গুলো ডিলেট করতে বলছে স্যারে।

অন্ধকারের মধ্যে কারো চেহারা দেখা যাচ্ছে না। পকেটের মোবাইল তো আগেই নিয়েছে। মানিব্যাগ ফেরত দিয়ে বললো, ফকিন্নির পুত! তোর মানিব্যাগো তো ১৮০টাকা আছে। ধর! তোর মানিব্যাগ। অন্ধকারে মধ্যে কাউকে চেনা না গেলেও স্যার, স্যার শব্দ কানে আসছে। তাদের একজনকে বলতে শোনা গেল, স্যার বলছে, ছবি আর ভিডিও ডিলেট করে ফোন ফেরত দিয়ে দিতে।


শীতের রাতে সাবরেজিস্টারের বন্ধ দরজার পাশে এভাইবেই দাঁড়িয়ে থাকেন, সেবা ভোগী সাধারণ দলিল করার জন্য আসা মানুষগুলো।

এসময়ে সামনে এগুতে চাইলে, পাশ থেকে একজন বলে ওঠে, আরে খানকির পুতে তো দৌড় দিব। এরই মধ্যে একজন দূর থেকে বলছে, এই ধর ধর, ফোন ফেরত দে।

ফোন হাতে পাওয়া পর তাদের সামনে থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে বলে, এই ব্যাটা জীবনটা ভিক্ষা দিলাম তোর। এইখানে যা কিছু ঘটছে তা গিয়ে বাহিরে বললে তোরে শ্যাষ কইরা দিমু! যা এখন। পেছনে তাকাবি না। দৌড় দে, দৌড় দে।

ছয়-সাত জনের দলটি বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসের গেইটের দিকে আলো থাকায়, বলে উঠলো, ঐদিকে যা। বাঁচতে চাইলে। নিউজ করবি না। কাউকে কিছু বলবি না।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসের সামনে গিয়ে এই প্রতিবেদক যখন হাফ ছেড়ে বাঁচলো, তখন মোবাইল চেক করে দেখলো, ছবি ও ভিডিও ডিলেট করা হয়েছে। ফোন বুক চেক করে দেখা গেল, নাম্বার লিষ্টও ডিলেট করা হয়েছে।

বিস্তারিত আরও আসছে…

(২৭ডিসেম্বর বুধবার ২০২২) দৌলতখান উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসে ভারপ্রাপ্ত সাবরেজিস্টার মামুন শিকদারকে অফিস সময় সকাল ৯টায় গিয়ে পাওয়া যায় নি।

৯টা থেকে সকাল ১১টা। সেই থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিসে বসে থাকলেও সাবরেজিস্টার মামুন শিকদারের দেখা পাওয়া যায় নি। অবশেষে দুপুর ১২পর তিনি হেলতে দুলতে অফিসে আসেন। ততক্ষণে সেবা প্রার্থীরা সেবার জন্য আসলেও সাবরেজিস্টারের এজলাস রুম খোলা থাকলেও তিনি এজলাসে বসেন নি।

এখানেও বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসের মত তার বিশাল সিন্ডিকেট গণমাধ্যম কর্মীকে তথা এই প্রতিবেদককে ম্যানেজ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

যথারীতি সাবরেজিস্টার মামুন শিকদারের আদেশে চা – বিস্কুট আসে। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীকে নানা রকম হেনস্তা করা হয়। তিনি বলেন, নিউজ কইরেন না। নিউজ করলে কি হবে? কিছু করতে পারবেন? কি করবেন?

এক পর্যায়ে অপকটে স্বীকার করে নেন, জেলা রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী সহ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীকে মাসেহারা দিতে হয়। এছাড়াও অনেক উর্ধতন কর্মকর্তাকে মাসেহারা দিতে হয়। যদি নিউজ করি তাহলে যেন তাদের বিষয়েও লেখা হয়।

আবার সেই ম্যানেজ প্রক্রিয়া শুরু হয়। চায়ের সাথে টা। নানা রকম ছল। কিন্তু সাধারণ জনগন যে দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে আছে সেবা পাওয়ার জন্য সেদিকে তার নজর নেই।

এক পর্যায়ে বলেন, কাকে জানাবেন? আমাদের জেলা রেজিস্ট্রার কে? জানান। হে কি করব আমার?

জনগণের সেবা দিবেন বলেই তো আপনি সরকারি চাকুরীতে জয়েন করেছেন? এমন প্রশ্নে অট্টহাসি দেন সাবরেজিস্টার? আমার সময় মত দলিল করব!রাতে দলিল করব। যার দরকার হবে ভোর রাতে দলিল করব সে এসে দলিলের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে। কে কি বললো দেখার টাইম নাই।

ভারপ্রাপ্ত সাবরেজিস্টার মামুন শিকদার আবারও বলেন, আমার এখানে কত সাংবাদিক আসে টু’পাশ, ত্রি’পাশ। একশোটাকার নোট ধরিয়ে দিলেই চলে যায় কিন্তু আপনাকেও টাকা দিতে চাইলাম, আপনি তো নিলেন না। আমার পকেটের টাকা কোন সাংবাদিকদের পেটে নেই!

আপনি অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে টাকা ইনকাম করেন বলেই সাংবাদিকদের টাকা দেন। এমন কথা বলতেই তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন।

গতকাল রাতে আপনার বাহিনী আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মোবাইল থেকে ভিডিও এবং ছবি ডিলেট করেছে। যা দেশের প্রচলিত আইনে অপরাধ।

এমন কথায় তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তার উত্তেজিত হওয়ার শব্দে পাশের রুম থেকে দৌলতখান উপজেলা সাবরেজিস্টারের সহকারী, অফিসের মহরার এবং নকল নবিশরা ছুটে আসেন।

এসময়ে দৌলতখান উপজেলা সাবরেজিস্টারের সহকারী এসে এই প্রতিবেদকের হাত ধরে বলেন, সরি ভাই। আপনি অন্য কোন দিন আসেন। স্যারের মনটা ভালো নেই।

এসময়ে আবার ছবি তোলা এবং ভিডিও করা থেকে বিরত থাকার কথা বলেন।

আজ (২৯ ডিসেম্বর২০২২ বৃহস্পতিবার)
বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাব-রেজিস্টার মামুন শিকদার রাতে দলিল নিবন্ধন করছেন? এমন প্রশ্নে গত দু’দিন ভোলা জেলা রেজিস্ট্রার আনিসুর রহমানের বক্তব্য জানতে একাধিক মাধ্যমে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে গণমাধ্যম কর্মীরা। সেই সূত্র ধরেই ২৮ ডিসেম্বর২০২২ বুধবার জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।

বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনায় (২৯ ডিসেম্বর২০২২ বৃহস্পতিবার) জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।

এসময়ে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী শাহিদা পারভীন এর কাছে জানতে চাইলে, শাহিদা পারভীন বলেন, আপনি তো গতকালও অফিসে আসছেন শুনছি। আমাদের স্যারকে কেন খোঁজেন? সে কি আপনার চাকরি করে? যখন তখন আপনি অফিসে আসেন?

এই প্রতিবেদক তখন বলেন, তিনি আমার চাকুরী করবেন কেন? তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, রাতের বেলা দলিল নিবন্ধন করছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার মামুন শিকদার এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে, ভোলা জেলা রেজিস্ট্রার আনিসুর রহমান এর কাছে এসেছি।

সরকারের কোন বিধানে আছে, দিনের অফিস রাতে করা?

তখন তিনি বলেন, আপনার কথা শোনার জন্য আমি বসে নেই। এই বিষয়ে আর কথা বলবো না।

তখন এই প্রতিবেদক বলেন, আপনি জেলা রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সরকারি ফোন নাম্বার, অথবা T@T নাম্বার দেন।

প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, আপনার কথা শুনতে বাধ্য নই।
এই সময়ে প্রতিবেদকের হাতে থাকা কলমের নিব চাপ লেগে নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিবেদক মনোযোগ সেদিকে না দিয়ে প্রধান সহকারীর কথা শুনতে তার দিকে তাকলে দেখতে পায়, প্রধান সহকারীর চোখ গলে ঝরঝর করে পানি ঝরছে। হতবাক হয়ে যায় প্রতিবেদক।

কোন প্রশ্ন করার আগেই চোখের জলে ভেসে গেলেন জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী শাহিদা পারভীন। হকচকিয়ে যায় এই প্রতিবেদক।

কবর নাটকে বিখ্যাত নাট্যকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুনির চৌধুরী লিখেছেন, “নারীর মন আকাশের রং” এমন চোখের জলে বিদগ্ধ হয়ে ফিরে আসেন এই প্রতিবেদক।

(রবিবার ১জানুয়ারী২০২৩) বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মুঠোফোন খন্দকার হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদক। দিনের অফিস রাতে করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাবরেজিস্টার! এমন প্রশ্নে রেজিস্ট্রি অফিসসমূহের পরিদর্শক, বরিশাল বিভাগ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব সিলেট বিভাগ এর দায়িত্বে থাকা খন্দকার হুমায়ুন কবীর বলেন, দিনের অফিস রাতে করছেন কথাটা শুনতেই তো খারাপ লাগছে৷ আপনি জানতে চেয়েছেন। এমন হবার নয়! তারপরও আমি ভোলা জেলার জেলা রেজিস্ট্রার আনিসুর রহমান এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলা সাব-রেজিস্টার মামুন শিকদার এর কাছে বিষয়টি কি জানব। আপনাকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাকে জানানোর জন্য।

ভোলা জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব – রেজিস্টার সহ তাদের প্রধান সহকারীদের বিরুদ্ধে তথ্য বহুল অনুসন্ধান চলবে। জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী সহ অন্যরাও দূর্নীতির সাথে জড়িত। তাদের দূর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চলবে। লক্ষ লক্ষ টাকা জোকের মত চুষে খাচ্ছে।

ভিডিও দেখুন

আরও সংবাদ পড়ুন।

বোরহানউদ্দিনে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না; নজর নেই জেলা রেজিস্ট্রারের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top