সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূর্নীতি ও অনিয়মের বড়বাবু শাজাহান
অপরাধ প্রতিবেদকঃ ঢাকা জেলার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বড় বাবুখ্যাত দূর্নীতির বর পুত্র শাজাহান। একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সরকারি ঔষধ আত্মসাৎ করা সহ কর্মচারীদের ফাইল আটকিয়ে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ রয়েছে। সরকারি টেন্ডার জালিয়াতির সাথে জড়িত। নারী কর্মীদের সাথে তার অসৌজন্যমূলক আচরণের একাধিক প্রমান পাওয়া গেলেও বহাল তবিয়তে অফিস করছেন তিনি।
বড়বাবু খ্যাত শাজাহান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ধান্দা বাজীর বাজার খুলে বসেছেন। কারো নিয়োগ বা বদলিতে তাকে টাকা দিতে হবে। কারো জিপিতে সমস্যা হলে তাকে টাকা দিতে হবে। এমনকি কেউ সামান্য কাজের জন্য গেলেও তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে?
কেন?
তিনি মহা শক্তিধর। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেনাকাটায় দূর্নীতি ও অনিয়মের সাথে সরাসরি জড়িত। তার কথায় ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের বড় বড় কর্তারা একঘাটে জল খায়।
তার পদমর্যাদা হেড ক্লার্ক হলেও চলনে বলনে আর ঘুষ না দিলে তার রুদ্রমূর্তি দেখা যায়। একাধিক অভিযোগ কারী বলেন, তার ব্যবহার খুবই খারাপ। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে খুবই খারাপ আচরন করেন।
অতিমারি করোনা কালিন সময়ে সাভার এলাকায় করোনার টিকা দিয়েছে মাঠের স্বাস্থ্য কর্মীগণ। কিন্তু তিনি আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে ঘুরাতে ঘুরাতে অনেকের টাকাই দেয় নি। কাউকে কাউকে আবার ৫ ভাগের ১ভাগ টাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার কোন টাকাই পান নি। নিরবে চোখের জল ফেলছে সে সব মাঠ কর্মীরা। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বড় বাবু শাজাহানের এসকল অপকর্মের শাস্তি না হয়ে বরং বসে আছে বহাল তবিয়তে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে একাধিক সহকর্মীর সাথে যোগাযোগ করলে এসব ভয়ংকর তথ্য বেড়িয়ে আসে। তার এসব অপকর্মের বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান বলেন, যদি কেউ তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ লিখিত ভাবে আমাকে বা প্রশাসনিক ভাবে জানায়, অভিযোগ প্রমান সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য। তারপরও আপনি জানিয়েছেন আমি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করব।