আজকে লোডশেডিং কেন – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মেগা চুরির কারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যখন তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল, তখন বলেছিল প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু আজকে লোডশেডিং কেন? কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি, মেগা চুরি।’
আজ শনিবার (৩০ জুলাই২০২২) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিদ্যুতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে এই যে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টগুলো আছে, তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে টাকা দিতে হবে। সেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে তাদের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়েছে। সামিট গ্রুপ কাদের আপনারা জানেন? আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানের বড় ভাই আজিজ খান। তাকে ৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা দিয়েছে। এগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল ৬ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা, এরদা পাওয়ার হোল্ডিং ৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড গ্রুপ ৪ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, কেপিসিএল ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, বাংলা ক্যাট ৩ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা, ওরিয়ন গ্রুপ ৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা নিয়েছে। এরকম ১০টা কোম্পানি হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে। যা আপনাদের পকেটের টাকা।’
তিনি বলেন, ‘গ্যাস উত্তোলনের জন্য আপনি, আমি সারচার্জ দেই। সেই ফান্ড থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা গ্যাস কেনার জন্য দিচ্ছে। এটা আরেকটা বাটপারি, আরেকটা ডাকাতি। একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নাম করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অন্যদিকে এলএনজি, এলপিজি আমদানি করছে সব আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা। এরা কারা আপনারা জানেন। আমি নাম উল্লেখ করতে চাই না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-যুব সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, মহানগর দক্ষিণের নেতা ইশরাক হোসেন, তানভীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন সহ বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা।