তজুমদ্দিনে খাস জমি উদ্ধার না করে দুই দেয়ালের মাঝে রাস্তা নির্মাণ;সরকারী গাছ কর্তন
তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার তজুমদ্দিনে নাগরিক অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তৈরি হচ্ছে রাস্তা নামক মরন ফাঁদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্প ব্যয় কমানোর দেয়া নির্দেশ উপেক্ষা করে একটি পাকা রাস্তা থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ সুরক্ষার তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে গাছ কেটে আবারো তৈরি হচ্ছে গনবিরোধী রাস্তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা চত্বরের পশ্চিম পাশের অধিবাসীদের জন্য প্রায় ১৬ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট পাকা রাস্তা থাকা সত্ত্বেও নতুন মাটির রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোজা পথে প্রভাবশালীদের দ্বারা বেদখল সরকারি খাস জমি উদ্ধার না করে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে দুপাশে দুটি ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যের দেয়ালের মাঝখানে তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা নামক মরন ফাঁদ। এর জন্য নির্বিচারে কাটা হচ্ছে অর্ধশত বছরের বনজ বৃক্ষ। শুধু তাই নয়, ছ’ফুট প্রস্থের এই রাস্তার মধ্য দিয়ে জরুরি রোগী আনা নেয়া যেমন অসম্ভব তেমনি অগ্নি দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
তাছাড়া অর্ধশতবছর ধরে বসবাসরত পরিবারগুলোর অধিকাংশই রান্না ও গোসলের পানির জন্য উপজেলা চত্বরের পুকুর ব্যবহার করে আসছে। নতুন এ রাস্তা তৈরি হলে পুকুরে যাওয়ার দূরত্ব তিনগুণ বেশি হবে যা নাগরিকদের আইনগত সুখাধিকার লঙ্ঘন। রাস্তাটির একপাশে তিনশত ফুট বিস্তৃত খাদ্য গুদামের বাউন্ডারি দেয়াল অন্যপাশে উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ের দেয়াল থাকায় কোন শিশু চলাচল করলে কুকুর বা কোন হিংস্র প্রানীর হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকবেনা বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। শুধু তা-ই নয় নব্বই ডিগ্রির দূটি বাঁকের কারণে শুধু শিশু ও নারীদের চলাচলই নয় সকল অধিবাসীর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দূর্ঘটনা। আর দূর্ঘটনা ঘটলে তা কোনো পাশ থেকেই দেখা যাবেনা। নজিরবিহীন ও গনবিরোধী এ ধরনের রাস্তা বরিশাল বিভাগের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা বলে জানান তাঁরা।
চাঁদপুর ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম জানান এ ধরনের কোন প্রকল্পের স্কিম তিনি দেননি। চৌদ্দ ফুট খাস জমি উদ্ধার করে নাগরিকদের সুবিধার জন্য গোডাউনের পশ্চিম পাশ বরাবর সোজা উত্তর দিকে রাস্তা তৈরি করার স্কিম দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা মুখে কুলুপ এঁটে রহস্যজনক কারণে রাস্তাটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বরাদ্দ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গোপন করেন।
এ নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা নিয়ে তোলপাড় চলছে পুরো এলাকায়।