চরফ্যাশনে দুঃস্থ তালিকার চেক পেলেন কোটিপতি’র স্বজনরা
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনে নদী ভাঙ্গুলী অসহায় দরিদ্র পরিবারদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের চেক পেলেন ঢালচর ইউনিয়নের কোটিপতি রহিম মাঝি,গিয়াসউদ্দিন মাঝি সহ চেয়ারম্যানের ২ ভাই।
বাদ পড়েছে প্রকৃত অসহায় নদী ভাঙ্গুলী শত শত পরিবার। ঢালচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ২ ভাই সফি হাওলাদার ও হাফেজ হাওলাদার অণুদানের চেক পেয়েছেন।
সূত্র জানান, চেয়ারম্যানের ছেলের নামও রয়েছে এ তালিকায়। আমরা ১৮ শত নামের তালিকা প্রস্তুত করে দিলেও ৩ বারে কাটছাট করে ১ শত নাম পেয়েছি। সবাইকে খুশি করা সম্ভব না। কিছুটা এদিক ঐদিক হতেই পারে। রহিম মাঝির চেক গ্রহণের ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছঢ়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। গত মঙ্গল ও বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ চেক বিতরন সভা অণুষ্ঠিত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সালাম হাওলাদার জানান, রহিম মাঝি ঢালচরে নদী ভাঙ্গার পর ৪ নং জিন্নাগড় ইউনিয়নের কাশেমগঞ্জ বাজারের পুর্ব পাশে মুচির পোল এলাকায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করেন এবং ঢালচরে মাছের ব্যবসা করেন। সফি হাওলাদার মুক্তিযোদ্ধা ও প্যরালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। হাফেজ হাওলাদার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢালচরের অসহায় নদী ভাঙ্গুলী সুবিধা বঞ্চিত অনেকে জানান, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে তালিকায় আমাদের নাম দিলেও আমরা প্রভাবশালী কোটিপতি বা চেয়ারম্যানের ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকার কারনে আমাদের নাম বাতিল হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল আল নোমান এ প্রতিবেদককে জানান,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা নদী ভাঙ্গুলী পরিবারের তালিকা প্রনয়ণ করে আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন। অনুমোদিত ও বরাদ্ধকৃত চেক স্থাণীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (এমপি) প্রধান অতিথি হিসেবে ৩০ মে বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন। ৩১ মে আমরা বাকী চেক বিতরন করেছি যার পরিমান ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
ত্রাণ দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপণা অধিদপ্তরের প্রকল্প কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ২৬৭ পরিবার প্রধানকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান ৫০,৬০ ও ৭৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেছি। রহিম মাঝি কোটিপতি ও ও সচ্ছল তিনি কিভাবে এ তালিকায় অনুদান পেলেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ইউনিয়ন থেকে আগত তালিকার বিপরীতে চেক অনুমোদন হয়েছে। আমাদের এ বিষয়ে কিছুই বলার নাই। আপনি সালাম হাওলাদারের সাথে আলাপ করতে পারেন।
রহিম মাঝির সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, নদী ভাঙ্গনের কারনে আমি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছি বিধায় দলীয়ভাবে আমাকে অনুদান দিয়েছেন।