বোরহানউদ্দিন বড়মানিকা জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম: সংবাদ সংগ্রহ করায় ইউএনও’র ক্ষোভ
তুহিন খন্দকার, ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলা বোরহানউদ্দিন বড়মানিকা ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বড়মানিকা ইউনিয়নের মাছ ব্যবসায়ী, আতিক, আমিন, শহিদ কামাল, রফিক, আব্দুল মালেক, জলিলসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার (১জুন) বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদে কার্ডধারী জেলেদের এপ্রিল ও মে দুই মাসের সরকার নির্ধারিত ৮০ কেজি (ভিজিএফ) এর চাল দেওয়ার কথা থাকলেও কার্ড ধারী জেলেদেরকে চাল না দিয়ে ৯ নং বড়মানিকা ইউনিয়ন বোরহানউদ্দিন, ভোলা, মৎস্য ভিজিএফ ২০২২ নামে কম্পিউটারে স্লিপ তৈরি করে দিয়ে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
সংবাদকর্মী গণ তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ তৌফিক ই-লাহীকে তার সহকারী ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানালে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমানকে অবহিত করার পরামর্শ দেন। জেলা প্রশাসকের কথা অনুযায়ী ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমানকে জানানো হয়। তথ্য সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন। এসে তিনি সাংবাদিকদেরকে মুঠোফোনে ডেকে এনে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ নানান অভিযোগে তুলে জেরা শুরু করে বিব্রত করার চেষ্টা করেন। জেলেদের চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরিষদে পরবর্তীতে কোন সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে আসলে তাদের ভিডিও ধারণ করে রাখার পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান
চাল বিতরণ কালে বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি বিশেষ কাজে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি মিটিংয়ে অবস্থান করছিলেন।
চাল বিতরণ কালে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, চাল বিতরনে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না, আমরা সবাইকে ৮০ কেজি করে দেই। বাহিরে নিয়ে কে কি করে সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়।
বড়মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব জানান, উপরের নির্দেশে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে জেলেদের তালিকা তৈরি করে চাল দিয়েছি। এর আগের বার জেলে কার্ড যাদের ছিলো তাদেরকে চাল দিয়েছি। কার্ডধারী জেলে বাদ দিয়ে তালিকা তৈরি করে চাল দিচ্ছি।
জেলেদের ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড ব্যতীত কম্পিউটারে তৈরি করে চাল দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, বড়মানিকা ইউনিয়নে প্রায় ১হাজার ৮ শত কার্ডধারী জেলের থাকলেও সেখানে ১ হাজার ৭ শত ২ জনের বরাদ্দ এসেছে। তাই সমন্বয় করে সবাইকে দেওয়ার জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।