আগামী ২৮ মে (শনিবার) দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ ডেকেছে ছাত্রদল

Picsart_22-05-25_09-39-56-699.jpg

আগামী ২৮ মে (শনিবার) দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ ডেকেছে ছাত্রদল

রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ক্যাম্পাস অভিমুখী মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ ডেকেছে ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ছাত্রদলের ক্যাম্পাস অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ এবং সশস্ত্র হামলা চালায়। গুলির শব্দে ছাত্রদলের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে সুপ্রিমকোর্টের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, স্ট্যাম্প, রড এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপরে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি আজ সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বীর সৈনিক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। আজকের হামলায় ছাত্রদলের ৪৭ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এই পৈশাচিক এবং ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ছাত্রলীগের ক্যাডারদের এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।’

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ২৮ মে (শনিবার) দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ মিছিল পালন করা হবে। পরদিন ২৯ মে (রোববার) দেশের সব উপজেলা, থানা, পৌরসভা এবং কলেজে বিক্ষোভ মিছিল পালন করা হবে।

বিবৃতিতে সব স্তরের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে ওই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়। নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরকে অতিদ্রুত ‘পরিবেশ পরিষদ’ এর সভা আহ্বান করার অনুরোধ জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের লাগাম টেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর সহাবস্থান এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের দায়ভার উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে। ছাত্রদল মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসের ব্যাপারে নির্লিপ্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদেরকে ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণ করছে এবং তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top