কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাগর চৌধুরীঃ আজ সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিগণ হলেন,
(১) সৈয়দ শরীফুল ইসলাম (৬২), সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, ঢাকা, (বর্তমানে অবসর), পিতা সৈয়দ হারুন আল রশীদ, গ্রাম:হরিপুর, পো:গণ্ডবপুর, থানা: হাজীগঞ্জ, জেলা: চাঁদপুর; হোল্ডিং নং ৬১, ফ্লাট-সি, রোড নং ১৫/এ, ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, পো: জিগাতলা, ধানমণ্ডি, ঢাকা-১২০৯
(২) মো: আবুল হাশিম (৬১), (সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক), প্রশাসন ও অর্থ উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ী, ঢাকা; হোল্ডিং নং ৭৩/৩, ১ম লেন, মালিবাগ, পো:শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭ (৩) কাজী নুরুল আবছার, সাবেক নার্সারী তত্ত্বাবধায়ক (বর্তমান:অবসর), দেওয়ানহাট হর্টিকালচার সেন্টার, চট্টগাম; স্থায়ী ঠিকানা: পিতা মৃত কাজী আহছান উল্লাহ, গ্রাম:বাহলী, পো: পটিয়া, থানা: পটিয়া, জেলা: চট্টগ্রাম
(৪) মো: আব্দুল হালিম ওরফে মোহাম্মদ আবদুল হালিম (৪৩) উচ্চমান সহকারী, দেওয়ানহাট হর্টিকালচার সেন্টার, চট্টগ্রাম, বর্তমান উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক. মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম, পিতা মৃত আব্দুল কুদ্দুস, গ্রাম; সাহেবপুর, পো: আজমপুর, থানা: মীরসরাই, জেলা: চট্টগ্রাম
(৫) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (৪২), উপজেলা কৃষি অফিসার, টেকনাফ, কক্সবাজার; পিতা নেকবর আলী, গ্রাম: দারাকপুর, পো: রামনাথপুর, থানা: ফুলপুর, জেলা: ময়মনসিংহ
(৬) ফিরোজ খাঁন, ক্যাশিয়ার, উপজেলা কৃষি অফিস, টেকনাফ, কক্সবাজার, বর্তমানে উপপরিচালকের কার্যালয়, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম; পিতা : সিরাজুল ইসলাম, গ্রাম: উত্তরঘোপ/বড়ঘোপ, পো: বড়ঘোপ বাজার, থানা: কুতুবদিয়া, জেলা: কক্সবাজার।
তারা মাঠ পর্যায়ের উপজেলা কৃষি অফিস/হর্টিকালচার সেন্টার হতে অর্থ বরাদ্দের চাহিদাপত্র ব্যতিরেকে, অনুমোদন সংশ্লিষ্ট নথিতে উপস্থাপন না করে এবং কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে সৈয়দ শরীফুল ইসলাম কর্তৃক অপর আসামীদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে জাল জালিয়াতি -প্রতারণা, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে একক স্বাক্ষরে ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস/ হর্টিকালচার সেন্টার এ সর্বমোট ৫,৩২,০৭,০৮৫/- টাকার বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বর্ণিত আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে বরাদ্দকৃত বিশেষ অর্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কোড সমূহের আওতায় ব্যয় দেখিয়ে (প্রকৃতপক্ষে ব্যয় না করে / ক্রয় না করা সত্ত্বেও তাদের কর্তৃক অর্থ পরিশোধ দেখিয়ে/স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি দেখিয়ে) উক্ত বিল পাস করে এবারের অর্থ আত্মসাত করে। আত্নসাতে সহযোগিতা করে/বরাদ্দ পরবর্তীতে বরাদ্দ পত্রসহ আনুষাঙ্গিক সমুদয় রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করে দণ্ডবিধি ৪২০/ ৪৬৫/ ৪৬৬/ ৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে।