হামজার ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান বাণিজ্য সচিব
আমির হামজার ছেলে উপসচিব মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আমির হামজার ছেলে উপসচিব মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল মাগুরার প্রয়াত আমির হামজাকে। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তার মনোনয়ন বাতিল করে সরকার। আমির হামজার নাম সুপারিশ করেছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
নিজের বাবার নাম সুপারিশের জন্য বাণিজ্য সচিবের দারস্থ হয়েছিলেন প্রশাসনের ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। তিনি বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন আমির হামজা। পুরস্কার ঘোষণার পর এমন তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। সেই সঙ্গে সাহিত্য অঙ্গনে সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার দেওয়ায় প্রায় সব মহল থেকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আমির হামজার মনোনয়ন বাতিল করে তার বিষয়ে তথ্য গোপন করায় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তপন কান্তি ঘোষকে চিঠি দেওয়া হয়। তিনি এ বিষয়ে তথ্য গোপন করায় আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন সচিবকে চিঠি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানার চেষ্টায় জনপ্রশাসন সচিব কেএম আলী আজমকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। বাণিজ্য সচিবের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য একজন তার বাবার নাম প্রস্তাব করলেও ন্যূনতম চিন্তা না করেই সচিবের সুপারিশ করাটা খুবই দুঃখজনক।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ সরকার ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে। ওইদিন এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে মন্ত্রিপরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরে ১৮ মার্চ সংশোধিত তালিকায় ব্যক্তি পর্যায়ে ৯ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালের সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের বিষয়ে। যদিও সেবার কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।