ভোলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে, ভোলা জেলার প্রশাসক মোঃ তৌফিক -ই-এলাহী চৌধুরী ও ভোলা জেলার পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম এর হাত থেকে
ক্রেষ্ট গ্রহন করছেন ভোলা জেলা সিভিল সার্জন ডা: কে.এম. শফিকুজ্জামান।

জেলা প্রতিনিধিঃ আজ “শনিবার ২৬ শে মার্চ২০২২” মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনপণ সশন্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি। দীর্ঘ নয় মাস এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে বাঙালির কাঙ্ক্ষিত অর্জন- মহান স্বাধীনতা।


শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, ভোলা জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক -ই-লাহী চৌধুরী।

মহান স্বাধীনতা দিবস -২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে দিবসের ভোরে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভোলা চত্বরে নির্মিত শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, ভোলা জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক -ই-লাহী চৌধুরী, ভোলা জেলার পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম।

এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ এসময় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের উদ্দেশ্যে মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।


শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, ভোলা জেলার পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম

এরপর যুগীরঘোলে অবস্থিত বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং মোনাজাত করেন, জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক -ই-লাহী চৌধুরী।

আজ সকালে ভোলার ঐতিহ্যবাহী গজনবী স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক -ই-লাহী চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ভোলা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম-সেবাকে সাথে নিয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের প্যারেড পরিদর্শন করেন। এরপর বিভিন্ন বাহিনী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, ভোলার আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top