ভোলার বোরহানউদ্দিনে কেটে নিয়ে যাচ্ছে সরকারি গাছ! দেখার কেউ নেই!

ভোলার বোরহানউদ্দিনে কেটে নিয়ে যাচ্ছে সরকারি গাছ!
দেখার কেউ নেই!

উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে টেন্ডারের আগেই এলাকার প্রভাবশালীরা কেটে নিয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়নের কোটি টাকার গাছ।

সোমবার ও মঙ্গলবার সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা গেছে, মক্কার পুল থেকে কাচিয়ার পুল পর্যন্ত সামাজিক বনায়ন সীমানায়।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে ভোলা বনবিভাগ ও কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় জমির মালিকদের সমন্বয়ে সরকারি রাস্তার দুই পাশে গাছের চারা রোপণ করে। বর্তমানে সৃজিত গাছ পরিপূর্ণ গাছে রূপান্তরিত হলে বনবিভাগ গাছগুলো টেন্ডারে জন্য লালকালিযুক্ত দাগ বসায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বনবিভাগ ও বনায়ন সমিতির সভাপতি দামী দামী রেইনট্রিসহ অন্যান্য প্রায় ৩ শতাধিক গাছ বাদ দিয়ে বাকি গাছে লাল কালির মার্কিং করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, গাছগুলোই ১৯৯৭-৯৮ সালে বনবিভাগ ও বনায়ন সমিতির সমন্বয়ে লাগানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার প্রভাবশালী মহল বনবিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে ওই দামী গাছগুলো জমির মালিকের দাবি করে টেন্ডারের অগেই কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী মুজাপ্পার ফরাজীর লোকজন কাচিয়ার পুলের দক্ষিণ পাশে রাস্তার পাশ থেকে বিশাল আকৃতির দুটি রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, গাছ দুটি আমরা মুজাপ্পার ফরাজীর কাছ থেকে কিনেছি।

এ ব্যাপারে মুজাপ্পার ফরাজীর মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে বার বার কল করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বনায়ন সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন মিয়া জানান, মুজাপ্পর মিয়াসহ অনেক সদস্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেছে, আমি তাতে সুপারিশ করেছি।

ভোলা উপকূলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়সার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, আমরা কোনো আবেদন হাতে পাইনি। তাছাড়া তারা নিজেদের গাছ দাবি করলেও তদন্ত ছাড়া গাছ কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা কাটা গাছগুলো জব্দ করেছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে এলাকাবাসী ও সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালীরা দামী দামী বিশাল আকৃতির কোনো গাছেই লাল কালির দাগ না দিয়ে গাছগুলো নিজেরা কেটে নিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছে। সরকারের বিশাল অংকের রাজস্ব বাঁচাতে সঠিক তদন্ত করে সকল গাছ টেন্ডারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top