চরফ্যাসন উপজেলার হাট বাজার ও বিভিন্ন ঘাট ইজারার নামে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য

Picsart_22-02-19_15-40-10-154.jpg

চরফ্যাসন উপজেলার হাট বাজার ও বিভিন্ন ঘাট ইজারার নামে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য

জেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার হাট বাজার ও বিভিন্ন ঘাট ইজারার নামে কোটি কোটি টাকার বানিজ্য চলছে। সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত। সচেতন মহলের ক্ষোভ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, চরফ্যাসন পৌরবাজার ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা তুলে সরকারে কোষাগারে জমা পরে ২০ লাখ,শশীভুষন বাজার ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আদায় করে সরকারী ভাবে জমা পরে ৫ লাখ,দক্ষিন আইচা বাজার ১ কোটা টাকা তুলে সরকারী ভাবে জমা দয়ে ৩ লাখ,চেয়ারম্যান বাজারে ১ কোটি টাকা তুলে সরকারী ভাবে জমা পরে ৩ লাখ,দুলার হাট বাজার ২ কোটি টাকা আদায় করে সরকারী ভাবে জমা দেয় ৫ লাখ,আনজুর হাট বাজার ৮০ লাখ টাকা আদায় করে সরকারী ভাবে জমা দেয় ১ লাখ ৫০ হাজার।

উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১২০ টি হাট বাজার রয়েছে সকল হাট বাজারে একই অবস্থা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ইজারাদার বলেন, আগে যে বাজার ২/৩ লাখ টাকায় ইজারা নিতাম সেটা এখন ৭০/৮০ লাখ টাকায় নিতে হয় নেতাকে অতিরিক্ত টাকা না দিলে আমরা বাজার পাব না। সুদের উপর টাকা নিয়ে নেতার চাহিদা পুরন করতে হয়। আমাদের টাকা উঠানোর জন্য সাধারন জনগন থেকে ১০ টাকার খাজনা ১০০ টাকা আদায় করতে হয়।

অনুরুপ ভাবে বেতুয়া লঞ্চঘাট আগে ইজারা ছিল ২ লাখ টাকা এবছর ইজারা হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সরকারী ভাবে জমা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।

ঘোষের হাট লঞ্চ ঘাট ও ১ কোটি টাকার বেশী দিয়ে নিতে হয়। ইজারাদারা তাদের টাকা উঠানোর জন্য ১ টাকার খাজনা ১০ টাকা আদায় করে থাকে।

বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যাসস্থা নিলে সাধারন মানুষ
উপকৃত হবে।

একদিকে চরফ্যাশন উপজেলার সচেতন মহল বলেন, এভাবে সরকারী অর্থ লোপাট যারা করছে, তারাই আবার সততার সবক দেন। নিজেরা সরকারি অর্থ লোপাট করছে। আইন অমান্য করছে। কিন্তু সভাসমাবেশে তাদের বক্তৃতা শুনলে মনে হয় তারা পীরে কামেল। এসব ভণ্ডামি না করে সরকারী কোষাগারে অর্থ না দিয়ে নিজেদের পকেট ভরছে। কেউ দেখার নেই!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top