খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি।
রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ দুই মাস ১৭ দিন ধরে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাসায় যাওয়ার মতো সুস্থ হননি। তাই তাকে এখনো হাসপাতালে থাকতে হবে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড গতকাল রবিবার পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে এই মতামত দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে: আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, ব্লাড-সুগার, সোডিয়াম, হিমোগ্লোবিন, স্টুল, ইউরিন ও করোনা ভাইরাস।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যগত দিক অনুকূলে এলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে চান খালেদা জিয়া। তবে মেডিক্যাল বোর্ড বলছে, তার শারীরিক অবস্থা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়।
গতকাল রবিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। যখন যে উপসর্গ বাড়ে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে। শারীরিক অবস্থা ভালো হলে মেডিক্যাল বোর্ড ওনাকে হাসপাতালে থাকতে বলত না। তারা মনে করেছেন, বাসা থেকে হাসপাতাল অপেক্ষাকৃত ভালো। তাই হাসপাতালে রেখেছেন। তারা যখন সিদ্ধান্ত দেবেন, তখনই খালেদা জিয়া বাসায় ফিরে যাবেন। তার যে অসুস্থতা তা নিরাময়ের মতো চিকিত্সাব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। তাই তাকে বিদেশে নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত যে, গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিনই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। সেখান থেকে ৯ জানুয়ারি রাতে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
গত ২৮ নভেম্বর চিকিৎসক দলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া দরকার। তবে সরকার এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।