প্যারাডাইস-পানামা পেপারসে নাম আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ
আদালত প্রতিবেদকঃ প্যারাডাইস-পানামা পেপারসে নাম আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়ার নির্দেশপ্যারাডাইস-পানামা পেপারসে নাম আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ।
অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে নাম আসা ৬১ বাংলাদেশি ও সাতটি কোম্পানির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে এই অবস্থা প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টকে অবহিত করতে দুদক ও সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ আজ রবিবার এই আদেশ দেন। এছাড়া সুইস ব্যাংক সহ বিদেশের ব্যাংকে কোন কোন বাংলাদেশির অর্থ রয়েছে তার তালিকাও দাখিল করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছে, আমরা দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছি। এখানে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ নেই।
এর আগে সকালে বিএফআইইউ ও দুদকের দাখিল করা ৬১ ব্যক্তি ও সাতটি কোম্পানির নামের তালিকার ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক প্যারাডাইস ও পানামা পেপারসে আসা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা তুলে ধরেন। এ সময় অফশোর কোম্পানির তালিকাও আদালতে তুলে ধরেন দুদক কৌঁসুলি।
জবাবে রিট আবেদনকারী কৌঁসুলি আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে বাংলাদেশিদের নামের তালিকা ২০১৬ ও ১৭ সালে প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। সেই পুরনো তালিকাই পাঁচ বছর পর হাইকোর্টে দাখিল করেছে দুদক ও বিএফআইইউ। কিন্তু বিএফআইইউ ও দুদক নিজস্ব অনুসন্ধানে কাদের নাম পেয়েছে সেটা কোর্টকে আজও জানায়নি। এমনকি পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের কী অবস্থা সেটাও আদালতকে জানানো হয়নি।
এ পর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক বলেন, তদন্ত চলমান। আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এই তদন্ত কি আদৌও শেষ হবে, না অনন্তকাল চলবে।
এ পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেন, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) তৈরি করা হয়েছে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য আদান প্রদান করতে। এমএলএআরের অধীনে এখন পর্যন্ত কি তথ্য বিদেশে দিয়েছেন আর সেখান থেকে কি তথ্য পেয়েছেন সেটা আদালতকে জানান। এর পরই হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন। এ সময় রিটকারী আরেক আইনজীবী সুবীর নন্দী রুল শুনানিতে অংশ নেন।