নোয়াখালীর চাটখিল থানার ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Picsart_22-01-26_09-20-40-480.jpg

নোয়াখালীর চাটখিল থানার ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধিঃ বিরোধপূর্ণ জমি দখলে ‘সহায়তা ও ঘুষ দাবির’ অভিযোগে নোয়াখালীর চাটখিল থানার ওসি, দুই এএসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক ব্যক্তি।

চাটখিল উপজেলার উত্তর বদলকোট গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ নামের ওই ব্যক্তি জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।

বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ সাফায়েত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ৭ নম্বর আমলী আদালতের পেশকার মতিউর রহমান জানিয়েছেন।

মামলার আর্জিতে আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেছেন, ১৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ ও মো. পারভেজ দলবল নিয়ে বদলকোট মৌজার তার জমি ‘জবর দখল’ করতে যায়। এ সময় তিনি বাধা দিলে প্রতিপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে বলে, তারা ‘থানা-পুলিশে কন্ট্রাক্ট’ করে এসেছে, কোনো রকম বাধা দিলে ‘লাশ পড়বে’।

নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে চাটখিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দখলকারীরা পালিয়ে যায়। পরে চাটখিল থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন সাধারণ পোশাকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় ‘হুমকি-ধমকি দেন’ বলে অভিযোগ করেছেন ওয়াহেদ।

আর্জিতে তিনি লিখেছেন, ওই দুই এএসআই তাকে বলেন, ‘ওসি সাহেবের নির্দেশে’ তারা এসেছেন। কাগজপত্র নিয়ে তাকে থানায় যেতে বলেন তারা। পরে কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে ওসি আবুল খায়ের তাদের রাত ১০টা পর্যন্ত সেখানে বসিয়ে রেখে প্রতিপক্ষকে ‘জায়গা দখলের সুযোগ করে দেন’।

বাড়ি ফিরে প্রতিপক্ষ জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে দিয়েছে দেখে আবার থানায় অভিযোগ করতে গেলে দুই এএসআই ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, মামলার আবেদনটি তিনি দেখেছেন। তবে, আবদুল ওয়াহেদ নামের ওই ব্যক্তিকে তিনি ‘চেনেন না’।

“এএসআই জাকিরের কাছ থেকে জেনেছি, জায়গা জমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ। ওই বিরোধের জের ধরে ৯৯৯ নম্বরে এক পক্ষ ফোন করেছে, পরে তাদের বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কোনো কথা হয়নি।”

পিবিআই জেলা কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, “আদালতের নির্দেশনা এবং নথিপত্র হাতে পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top