প্রাইমারীর তিন প্রধান শিক্ষকের দেশ ত্যাগ; কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা
তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধিঃ ভোলার তজুমদ্দিনের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশ গমনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বিদ্যালয় খোলা থাকলেও কোন প্রকার ছুটি না নিয়েই ১৩ দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের প্রচেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক সিন্ডিকেটের নেতারা।
সুত্র মতে জানা যায়, উপজেলার খোশ নদী বোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষক মলয় সরকার, কাঞ্চনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষক মরণ চন্দ্র দাস ও কাজিকান্দি ওয়াহিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত দাস একযোগে গত ১৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এর সুত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা তিনজন কোন প্রকার ছুটি ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ভারত গমন করেন। বিদেশ গমনকালে তারা পরিচয় গোপন করেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি অবগত হয়েও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে তিন শিক্ষককে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ২৯ ডিসেম্বর দেশে ফিরে স্কুল না গিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের কার্যালয়ে তার সাথে দেখা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলে অভিযোগ উঠে।
২৯ ডিসেম্বর কাজিকান্দি ওয়াহিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কান্ত দাস ভারত গমনের কথা স্বীকার করে জানান, তিনি ২৯ ডিসেম্বর দেশে এসেছেন। তবে বিদ্যালয়ে এখনো যাননি।
এবিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে খোশনদীবোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’র প্রধান শিক্ষক মলয় সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি ছুটি নেয়ার দাবী করেন। কার কাছ থেকে এবং কত দিনের ছুটি নিয়েছেন তার উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের কাছে অনুমতি ছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বিদেশ গমনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। বিদ্যালয়ে যারা ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর গ্রহণ না করার জন্য বলা হয়েছে। ১৩ দিন তাদের স্কুলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, ১৯ ডিসেম্বর সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানদের এবিষয়ে সাধারন ডায়েরী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কামরুজ্জামানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষটি তিনি অবগত হয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এবিষয়ে সাধারণ ডায়েরী করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো এবিষয়ে কোন তথ্য প্রেরণ করা হয়নি।