অধ্যক্ষ মাওলানা ছালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চাকরী দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগ

PicsArt_11-23-02.02.59.jpg

অধ্যক্ষ মাওলানা ছালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চাকরী দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধিঃ মাদ্রাসার শিক্ষকও দপ্তরী বা অফিস সহায়ক পদে চাকরী দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে চাকরী দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর টাকা ফেরত না দিয়ে প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ করেছেন চাকরী প্রত্যাশীরা।

এছাড়াও একই ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করার ১২ বছর পুর্বে তার নামে চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর ফারুকী মৌজায় ৩ একর জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার প্রমানও মিলেছে। একই সময়ে তার স্ত্রী ও সন্তানের নামেও ভুমিহীন দেখিয়ে আরো ৬ একর জমি নিয়েছেন তিনি।

চরফ্যাশনের হালিমাবাদ ও তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া গ্রামেও তাদের নামে একাধিক বন্দোবস্তীয় জমি থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমন কান্ডটি ঘটিয়েছেন তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ছালাউদ্দিন।

চাচড়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ছালাউদ্দিন তার মাদ্রাসায় শিক্ষক কোঠায় চাকরীর দেওয়ার জন্য লালমোহন উপজেলার চতলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ইলিয়াসের স্ত্রীর নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং শম্ভুপুর খাসের হাট এলাকার চা দোকানী সোহেলকে দপ্তরী পদে নিয়োগ এর জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ২০১৫ সালে গ্রহণ করে সালাউদ্দিন তার ভ্রাতা সহ আরেক জনকে নিয়োগ প্রদান করেন। ইলিয়াস ও সোহেল নিয়োগের বিষয়টি জানতে পেরে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন সময়ে তারিখ নির্ধারন করে টাকা ফেরত না দিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

এছাড়াও অধ্যক্ষ সালাউদ্দিনের ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী তার জন্ম ৫ মে ১৯৭১ সালে যার নং ০৯১৯১৩৮৬২২৩২৫ কিন্তু তিনি জাল জালিয়াতি করে ১৯৫৯ সালে তিনি তার স্ত্রী নুরনাহার বেগম ও ছেলে জোনায়েদ এর নামে ৩ একর করে ৯ একর জমি বন্দোবস্ত নেন।

এছাড়াও আবারও নিজেকে ভুমিহীন দেখিয়ে ও মিথ্যা জন্ম সনদ দিয়ে দক্ষিণ আইচায় ২০০৫-৬ সালে মিসকেইচ নং এফ ৩৪১৫ জেএল ১০২, তৌজি ৩৪, খতিয়ান নং ২১৪৭ যার কবুলিয়ত রেজি: নং ৫১২৫ তারিখ ৯ আগষ্ঠ ২০০৬ সালে সম্পাদন করে ১.৫০ একর জমির মালিক হন।

তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ছালাউদ্দিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। বাসায় আছি।

সহকারী কমিশনার ভুমি আবু আবদুল্লাহ খাঁন বলেন, জন্মের আগে নেয়া বন্দোবস্তীয় ভুমি আইন মোতাবেক সম্পুন্ন মিথ্যা জাল জালিয়াতীর সামিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top