সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ – কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশে করোনাকালেও খাদ্যের সংকট নেই। দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যতম লক্ষ্য হলো সকল মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। আমরা মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবারের নিশ্চয়তা চাই। তরুণ ও আগামী প্রজন্মকে আমরা আরো মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি সবসময়ই বহু অনুষ্ঠানে এ কথা বলে এসেছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এ লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ভুলভাবে ও আংশিকভাবে উপস্থাপন করে দুয়েকটি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে একটি ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু ভুঁইফোঁড়, লালকাগজ, সবুজকাগজ পত্রিকা একদম ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করেছে, যার কোন সামান্যতম ভিত্তি নেই। কোন লিডিং বা শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ ধরনের ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করে নি। তবে ভুঁইফোঁড় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যাছাই-বাছাই না করে কিছু শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা তা প্রচার করেছে, প্রবন্ধও ছেপেছে। তারা খবরের সত্যতা, সঠিকতা ও সূত্র ভালভাবে যাছাই করে নি। এদেরকে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত’।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১০.৭৭%। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮.২৬%।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির সাথে বাস্তব অগ্রগতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কি প্রভাব পড়েছে ও কি ফলাফল এসেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলাফল ভাল না আসলে প্রজেক্ট করে লাভ হবে না।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।