পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনে এক নবদিগন্তের সূচনা – বেনজীর আহমেদ
সাগর চৌধুরীঃ বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেনের উপস্থিতিতে চুক্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (এইচআরএম) আবু হাসান মোহাম্মদ তারিক এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মোঃ মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।
নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বর্তমান আইজিপি মহোদয়ের ‘ব্রেইন চাইল্ড’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে আমরা শারিরীকভাবে অধিক সক্ষম, যোগ্য ও সৎ পুলিশ সদস্যের উন্নত সেবা পাবো।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেন, নতুন নিয়মে বাংলাদেশ পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল নিয়োগের ফলে মেধা ও শারিরীক সক্ষমতার ক্ষেত্রে যোগ্যতর লোক আসবে।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ এবং উন্নত দেশের
নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পুলিশের নতুন নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি নতুন নিয়োগ নীতিমালা অনুমোদন করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনারা নতুন সেবার দ্বার উন্মোচন করলেন। এর ফলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব, দুর্দান্ত সাহসের ফলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০৪১ সালের উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ গড়তে কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়নে বিশ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, টেলিটকের সাথে পুলিশের যে নবযাত্রার সূচনা হলো আগামীতে অন্যান্য ক্ষেত্রে এ সহযোগিতা আরও বাড়বে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বিগত এক দশকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে, বর্তমান আইজিপি মহোদয়ের নেতৃত্বে তা সর্বোত্তম অবস্থায় রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনেও পুলিশের প্রভূত ভূমিকা থাকবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ও টেলিটকের মধ্যে এ চুক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
স্বাগত বক্তব্যে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের পাশাপাশি প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক বেশী সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশে বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হল।
অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হল।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ এবং টেলিটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।