দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ার প্রেক্ষিতে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন
সাগর চৌধুরীঃ প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী জনাব মির্জা আব্বাস এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ০.৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারী, একই মৌজাভুক্ত বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে আরও ১৫০ কাঠা জমি দুনীতির মাধ্যমে ক্রয় এবং খিলগাও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরী করে নিজ নামে/বেনামে বরাদ্দ নিয়ে দুইশত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎসহ গুলশান বনানীর ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাতের অভিযােগের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মোঃ শহীদ ইসলাম পাপুল, সাবেক এমপি লক্ষীপুর-২ এর বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদানের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ সুযোগ প্রদানের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
তার বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের সাথে এটি যুক্ত হবে।
ইতঃপুর্বে পাপুলের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পাপুল ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ১টি মামলা চলমান ।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, মহাপরিচালক, কারা অধিদপ্তর ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎপূর্বক জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযােগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
তার বিরুদ্ধে অধিনস্ত ও আশির্বাদপুষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় নিয়োগ, টেন্ডার ও মাদক বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ-সম্পদ অর্জনের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।